প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন পড়াশোনা মানে
একগাদা বই চাপিয়ে দেওয়া নয়। একটা
স্কুলে ভর্তি হতে গেলে ছাপানো
প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিয়ে ভর্তি করতে
হবে, তা নয়। যে এলাকায় যে বসবাস
করে, সে এলাকায় ভর্তি হওয়া তার
অধিকার। সরাসরি তাদের আগে ভর্তি
করিয়ে নিতে হবে। শিশুদের শিক্ষাসহ
মৌলিক অধিকারগুলোর নিশ্চিত করার
ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়ে
প্রধানমন্ত্রী বলেন ইতোমধ্যে অনেক
হিসাব এসেছে, ৩৪ লাখ শিশু নাকি
ঢাকার রাস্তায় ঘুরে। এখানে আমাদের
মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় এবং
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় আছে। এই দুই
মন্ত্রণালয়কে আমি নির্দেশ দিচ্ছি,
একটি শিশুও রাস্তায় ঘুরবে না। একটা
শিশুও এভাবে মানবেতর জীবনযাপন
করবে না। আমরা ১৬ কোটি লোকের
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। তাই
৩৪ লাখ পথ শিশুকে খাওয়ানোর সক্ষমতা
সরকারের রয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ
শিশু একাডেমি অডিটোরিয়ামে বিশ্ব
শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০১৫-
এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা
বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন প্রথম
শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা নিলে ব্যবস্থা
নেওয়া হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মহিলা ও
শিশু, সমাজকল্যাণ এবং প্রাথমিক শিক্ষা
মন্ত্রণালয় অবশ্যই এ ব্যাপারে যথাযথ
ব্যবস্থা নেবেন। আর প্রধানমন্ত্রীর
কার্যালয় থেকে এটা যেন সমন্বয় করা
হয়। তারা যেন লক্ষ্য রাখেন কাজগুলো
ঠিকমতো হচ্ছে কিনা। তারা যদি
লেখাপড়া শিখে ছাপানো প্রশ্নপত্র
পড়ে পরীক্ষায় উত্তর দিয়ে স্কুলে ভর্তি
হতে পারে তাহলে আর স্কুল কী
শেখাবে? প্রাক প্রাইমারি বা
প্রাইমারি তাদের কী শেখাবে?।
প্রধানমন্ত্রী বলেন আমাদের দুর্ভাগ্য
আজকাল আমাদের দেশে, যেমন এই ঢাকা
শহরে দেখি এত ফ্ল্যাট বাড়ি
হয়েছে,তাদের খেলাধুলার জায়গা রাখা
হয় না। এই ফ্ল্যাট বাড়িতে থেকে
বাচ্চারা ওই ফার্মের মুরগির বাচ্চার
মতো মানুষ হচ্ছে। আমি সব সময় বলতাম,
আপনারা অন্তত বাচ্চারদের জন্য খেলার
জায়গাটা রাখবেন। বাচ্চারা যেন
খেলাধুলা করতে পারে,তাদের হাত পা
ছড়াতে পারে। লেখাপড়ার জন্য আনন্দঘন
পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দিয়ে
প্রধানমন্ত্রী বলেন শিশুদের লেখাপড়া
শেখাতে পাঠানো মানে এক গাদা
বইয়ের বোঝা কাঁধে চাপিয়ে দিয়ে
তাদের সারাক্ষণ পড়ো পড়ো এর ওপরে
রাখা, এটা কিন্তু কখনো গ্রহণযোগ্য নয়।
আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে
বলবো, কাউকে সারাক্ষণ পড়ো পড়ো
বললে তাহলে পড়া থেকে মনটা উঠে
যায়। আমি আমার ছেলেবেলার কথা
বলতে পারি, যখনই বলতো এই পড়তে বস,
তখনই আর পড়তে ইচ্ছে করতো না। কিন্তু
মানুষ যদি উৎসাহিত করে এই পড়াটা
তোমার দায়িত্ব, পড়তে হবে, এই পড়াটা
শেষ করতে পারলেই তুমি খেলতে পারবে।
তখন কিন্তু সময় লাগে না। খুব তাড়াতাড়ি
পড়াশোনা শেষ করে খেলা যায়।
প্রত্যেকটা স্কুলে খেলাধুলা ও
বিনোদনের ব্যবস্থা রাখতে
সংশ্লিষ্টদের বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার
নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক পথশিশুর খাদ্য,
আশ্রয় এবং শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য
মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজ কল্যাণ
মন্ত্রণালয়ের প্রতি নির্দেশ দিয়ে বলেন
কোন শিশু রাস্তায় জীবনযাপন করবে না।
আমরা ১৬ কোটি লোকের খাদ্য
নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। তাই, প্রায়
৩৪ লাখ পথ শিশুকে খাওয়ানোর সক্ষমতা
সরকারের রয়েছে। দাদীদের মনে তো এই
দুঃশ্চিন্তাটা থাকে। আমি তো এখন
দাদী হয়েছি, নানি হয়েছি, কাজেই
আমার এই দুঃশ্চিন্তা শিশুদের নিয়ে
আছে। গৃহকর্মী শিশুদের ওপর নির্যাতনের
বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুব কষ্ট হয় আমার
যখন দেখি অনেক শিশুকে বাড়িতে নিয়ে
আসা হয় কাজের জন্য। সেই শিশুদেরও
লেখাপড়ার অধিকার রয়েছে। তাদের
শিক্ষার সুযোগ দেওয়া সবার উচিৎ।
অমনি তাদের মারা, অত্যাচার করা ঠিক
নয় । মানুষ এভাবে এতো নির্দয় হয়
কীভাবে? আমি এটা ভেবে পাই না।
কোনোভাবেই শিশুদের ওপর নির্যাতন
মেনে নেওয়া যাবে না। এটা বন্ধ করতে
হবে। শিশুদের দিয়ে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ
কাজ করানো যাবে না। শিশুদের কাজ
পড়াশোনা করা। প্রতিবন্ধী শিশুদের
প্রতি সবাইকে সহানুভূতিশীল হওয়ার
আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন
জন্ম থেকে হয়তো অনেকের শারীরিক
সমস্যা থাকে। এটা তাদের অপরাধ নয়। এ
ধরনের শিশুদের তোমরা আদর করবে, যতœ
করবে, বন্ধুসুলভ ও সহানুভূতিশীল আচরণ
করবে। তাদের নিয়ে হাসি-ঠাট্টা কখনো
করবে না। বাবা মায়েদের বলবো, তারা
যেন শিশুদের সেভাবে শিক্ষা দেন।
প্রতিবন্ধী শিশুদের চিকিৎসার
পাশাপাশি কাউন্সিলের ওপর গুরুত্ব
দিতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন শেখ
হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার
ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন
মুক্তিযুদ্ধের ও বিজয়ের ইতিহাস প্রতিটি
শিশুকে এখন থেকেই জানতে হবে। না
হলে তারা জীবনযুদ্ধে জয়ের অনুপ্রেরণা
পাবে না। এছাড়া সারাদেশে স্কুলে
নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং স্কুল ছুটির
পর শিশুদের রাস্তা পারাপারে জন্য
ট্রাফিক পুলিশকে বিশেষ ব্যবস্থা
নেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের
আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে
বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ শিশু
একাডেমির চেয়ারম্যান কথাসাহিত্যিক
সেলিনা হোসেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম,
পরিচালক মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
একগাদা বই চাপিয়ে দেওয়া নয়। একটা
স্কুলে ভর্তি হতে গেলে ছাপানো
প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিয়ে ভর্তি করতে
হবে, তা নয়। যে এলাকায় যে বসবাস
করে, সে এলাকায় ভর্তি হওয়া তার
অধিকার। সরাসরি তাদের আগে ভর্তি
করিয়ে নিতে হবে। শিশুদের শিক্ষাসহ
মৌলিক অধিকারগুলোর নিশ্চিত করার
ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়ে
প্রধানমন্ত্রী বলেন ইতোমধ্যে অনেক
হিসাব এসেছে, ৩৪ লাখ শিশু নাকি
ঢাকার রাস্তায় ঘুরে। এখানে আমাদের
মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় এবং
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় আছে। এই দুই
মন্ত্রণালয়কে আমি নির্দেশ দিচ্ছি,
একটি শিশুও রাস্তায় ঘুরবে না। একটা
শিশুও এভাবে মানবেতর জীবনযাপন
করবে না। আমরা ১৬ কোটি লোকের
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। তাই
৩৪ লাখ পথ শিশুকে খাওয়ানোর সক্ষমতা
সরকারের রয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ
শিশু একাডেমি অডিটোরিয়ামে বিশ্ব
শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০১৫-
এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা
বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন প্রথম
শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা নিলে ব্যবস্থা
নেওয়া হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মহিলা ও
শিশু, সমাজকল্যাণ এবং প্রাথমিক শিক্ষা
মন্ত্রণালয় অবশ্যই এ ব্যাপারে যথাযথ
ব্যবস্থা নেবেন। আর প্রধানমন্ত্রীর
কার্যালয় থেকে এটা যেন সমন্বয় করা
হয়। তারা যেন লক্ষ্য রাখেন কাজগুলো
ঠিকমতো হচ্ছে কিনা। তারা যদি
লেখাপড়া শিখে ছাপানো প্রশ্নপত্র
পড়ে পরীক্ষায় উত্তর দিয়ে স্কুলে ভর্তি
হতে পারে তাহলে আর স্কুল কী
শেখাবে? প্রাক প্রাইমারি বা
প্রাইমারি তাদের কী শেখাবে?।
প্রধানমন্ত্রী বলেন আমাদের দুর্ভাগ্য
আজকাল আমাদের দেশে, যেমন এই ঢাকা
শহরে দেখি এত ফ্ল্যাট বাড়ি
হয়েছে,তাদের খেলাধুলার জায়গা রাখা
হয় না। এই ফ্ল্যাট বাড়িতে থেকে
বাচ্চারা ওই ফার্মের মুরগির বাচ্চার
মতো মানুষ হচ্ছে। আমি সব সময় বলতাম,
আপনারা অন্তত বাচ্চারদের জন্য খেলার
জায়গাটা রাখবেন। বাচ্চারা যেন
খেলাধুলা করতে পারে,তাদের হাত পা
ছড়াতে পারে। লেখাপড়ার জন্য আনন্দঘন
পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দিয়ে
প্রধানমন্ত্রী বলেন শিশুদের লেখাপড়া
শেখাতে পাঠানো মানে এক গাদা
বইয়ের বোঝা কাঁধে চাপিয়ে দিয়ে
তাদের সারাক্ষণ পড়ো পড়ো এর ওপরে
রাখা, এটা কিন্তু কখনো গ্রহণযোগ্য নয়।
আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে
বলবো, কাউকে সারাক্ষণ পড়ো পড়ো
বললে তাহলে পড়া থেকে মনটা উঠে
যায়। আমি আমার ছেলেবেলার কথা
বলতে পারি, যখনই বলতো এই পড়তে বস,
তখনই আর পড়তে ইচ্ছে করতো না। কিন্তু
মানুষ যদি উৎসাহিত করে এই পড়াটা
তোমার দায়িত্ব, পড়তে হবে, এই পড়াটা
শেষ করতে পারলেই তুমি খেলতে পারবে।
তখন কিন্তু সময় লাগে না। খুব তাড়াতাড়ি
পড়াশোনা শেষ করে খেলা যায়।
প্রত্যেকটা স্কুলে খেলাধুলা ও
বিনোদনের ব্যবস্থা রাখতে
সংশ্লিষ্টদের বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার
নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক পথশিশুর খাদ্য,
আশ্রয় এবং শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য
মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজ কল্যাণ
মন্ত্রণালয়ের প্রতি নির্দেশ দিয়ে বলেন
কোন শিশু রাস্তায় জীবনযাপন করবে না।
আমরা ১৬ কোটি লোকের খাদ্য
নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। তাই, প্রায়
৩৪ লাখ পথ শিশুকে খাওয়ানোর সক্ষমতা
সরকারের রয়েছে। দাদীদের মনে তো এই
দুঃশ্চিন্তাটা থাকে। আমি তো এখন
দাদী হয়েছি, নানি হয়েছি, কাজেই
আমার এই দুঃশ্চিন্তা শিশুদের নিয়ে
আছে। গৃহকর্মী শিশুদের ওপর নির্যাতনের
বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুব কষ্ট হয় আমার
যখন দেখি অনেক শিশুকে বাড়িতে নিয়ে
আসা হয় কাজের জন্য। সেই শিশুদেরও
লেখাপড়ার অধিকার রয়েছে। তাদের
শিক্ষার সুযোগ দেওয়া সবার উচিৎ।
অমনি তাদের মারা, অত্যাচার করা ঠিক
নয় । মানুষ এভাবে এতো নির্দয় হয়
কীভাবে? আমি এটা ভেবে পাই না।
কোনোভাবেই শিশুদের ওপর নির্যাতন
মেনে নেওয়া যাবে না। এটা বন্ধ করতে
হবে। শিশুদের দিয়ে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ
কাজ করানো যাবে না। শিশুদের কাজ
পড়াশোনা করা। প্রতিবন্ধী শিশুদের
প্রতি সবাইকে সহানুভূতিশীল হওয়ার
আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন
জন্ম থেকে হয়তো অনেকের শারীরিক
সমস্যা থাকে। এটা তাদের অপরাধ নয়। এ
ধরনের শিশুদের তোমরা আদর করবে, যতœ
করবে, বন্ধুসুলভ ও সহানুভূতিশীল আচরণ
করবে। তাদের নিয়ে হাসি-ঠাট্টা কখনো
করবে না। বাবা মায়েদের বলবো, তারা
যেন শিশুদের সেভাবে শিক্ষা দেন।
প্রতিবন্ধী শিশুদের চিকিৎসার
পাশাপাশি কাউন্সিলের ওপর গুরুত্ব
দিতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন শেখ
হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার
ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন
মুক্তিযুদ্ধের ও বিজয়ের ইতিহাস প্রতিটি
শিশুকে এখন থেকেই জানতে হবে। না
হলে তারা জীবনযুদ্ধে জয়ের অনুপ্রেরণা
পাবে না। এছাড়া সারাদেশে স্কুলে
নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং স্কুল ছুটির
পর শিশুদের রাস্তা পারাপারে জন্য
ট্রাফিক পুলিশকে বিশেষ ব্যবস্থা
নেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের
আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে
বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ শিশু
একাডেমির চেয়ারম্যান কথাসাহিত্যিক
সেলিনা হোসেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম,
পরিচালক মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।