বাংলাদেশে আঠারো বছরের কম বয়সে কারো বিয়ে হলে তাকে বাল্যবিবাহ হিসেবে গণ্য করা হয়৷ অথচ ১৬ বছর বয়সে বিয়ে ইউরোপেও সম্ভব৷ জার্মানিতে ১৬ বছর বয়সে বিশেষ বিবেচনায় বিয়ে হয়৷ ইউরোপের দেশ স্পেনে আগে ১৪ বছর বয়সেই বিয়ে বৈধ ছিল৷ গত জুলাইয়ে সেটা বাড়িয়ে ১৬ করা হয়েছে৷ আর জার্মানিতে ১৬ বছর বয়সির বাবা-মা চাইলে এবং আদালত অনুমতি দিলে বিয়ে সম্ভব৷ তবে যার সঙ্গে বিয়ে হবে তার বয়স আঠারো হতে হবে৷ আর স্বাভাবিক নিয়মে আঠারোর নীচে বিয়ে সম্ভব নয়৷ এতটুকু পড়েই হয়ত, অনেকে বলে বসবেন আরে বাংলাদেশে
তাহলে ১৬ বছর বয়সে বিয়ে নিয়ে এত হৈচৈ কেন?
এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে চলুন আরেকবার দেখে নেই, নারীর জন্য বাল্যবিবাহ কেন ক্ষতিকর: বাল্যবিবাহের শিকার মেয়েদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে প্রসবকালীন মৃত্যু৷ অধিকাংশক্ষেত্রে দেখা যায় মেয়েটির শরীর সন্তান ধারনে সক্ষম হবার আগেই সে গর্ভধারণ করছে৷ ফলে প্রসবকালীন মৃত্যুর শঙ্কা অনেক বেশি থাকে৷ অল্পবয়সে মৃত্যুর হারও তাদের মধ্যে বেশি৷ শিশুমৃত্যুর হারও অল্প বয়সে যারা গর্ভধারণ করছেন তাদের ক্ষেত্রে বেশি৷ প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অল্পবয়সি মায়েদের ক্ষেত্রে ‘প্রিমেচিউর' শিশু এবং মৃতশিশু জন্মের হার বেশি৷ তাদের বাচ্চাদের অল্প বয়সে মৃত্যুর আশঙ্কাও বেশি থাকে৷ বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বাল্যবিবাহের শিকার হওয়া মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ বিয়ের সঙ্গে সঙ্গেই কার্যত শেষ হয়ে যায়৷ বিয়ের পর তারা বরং সন্তান নেয়া এবং পরিবারের কাজের প্রতি বেশি মনোযোগী হতে বাধ্য হয়৷ অল্প বয়সে মা হওয়াদের মেয়েদের ক্ষেত্রেও স্কুল ত্যাগ করার এবং অল্প বয়সে বিয়ে বসার প্রবণতা বেশি৷ পরিসংখ্যান বলছে, অল্প বয়সে বিয়ের শিকার মেয়েরা অল্প বয়সেই নিজেদের সকল অধিকার হারান৷ নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা, নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হবার সুযোগ তারা পান না৷ বরং পারিবারিক সহিংসতা এবং যৌন নিগ্রহের শিকার হওয়ার আশঙ্কায় তারা বেশি থাকেনা ৷
এরকম আরো অনেক বিজ্ঞানসম্মত, সামাজিক কারণ আছে যা বাল্যবিবাহের অনুকূলে যায় না৷ আর উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষেত্রে সেটা আরো অনেক বেশি প্রযোজ্য৷ আপনাদের জানানো প্রয়োজন, জার্মানিতে ১৬ বছর বয়সে বিশেষ বিবেচনায় বিয়ের সুযোগ রয়েছে। দেশটির সামাজিক ব্যবস্থা অনেক বেশি আধুনিক এবং বাস্তবসম্মত৷ ছেলেমেয়েদের ছোটবেলা থেকেই তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে দেয়া হয়, তাদের যৌন শিক্ষা দেয়া হয়৷ জোর করে তাদের দিয়ে কিছু করানো অধিকাংশক্ষেত্রেই সম্ভব নয়৷ তাই এদেশে বাল্যবিবাহ নিয়ে কোনো আলোচনাই নেই৷
১৬ বছরে বিয়ে কী বাংলাদেশে বৈধ হওয়া উচিত?
আমাদের মনে হয় উচিত। যে সমস্যার কারনে বিয়ে পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে তা হলো অপরিণত শরীরে সন্তান ধারন করা। যদি অল্প বয়সে স্বাস্থ্যগত শিক্ষা ছেলে মেয়েদের মধ্যে প্রসার ঘটান যায় , তারা যদি বুজতে পারে আমরা অল্প বয়সে বিয়ে করে শারীরিক মিলন করতে পারবো , কিন্তু সন্তান নেয়া উপযুক্ত বয়সের আগে ঠিক নয়। সেই সাথে নিজে লেখাপড়া চালাতে হবে। তাহলে কাজ টা ভাল ফল দেবে। এটাই জার্মানিতে হচ্ছে। এতে করে যৌন সংক্রান্ত অপরাধ প্রবণতা কমে যাবে। স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়ে রা অবৈধ সম্পর্কের দিকে যাবে না। দেশে অসামাজিক কার্যক্রম কমে যাবে। কারন , তখন যৌন কর্মে সক্ষম ও যৌন ক্রিয়া করতে ইচ্ছুক ছেলে মেয়েরা বৈধ পথে ধর্মীয় ও সামাজিক রীতিনীতি মেনে তাদের শারীরিক চাহিদা মেটাতে পারবে।
এখানে বিশেষ ভাবে লক্ষণীয় যে, বর্তমানে বাংলাদেশে চলমান প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কর্মসূচী কয়েক গুন বৃদ্ধি করতে হবে। যেন প্রত্যেক ছেলে মেয়ে বুঝতে পারে তাকে কখন কি করতে হবে? সেই সাথে অভিবাবকদেরও সচেতন করতে হবে যাতে বিয়ের পরেও ছেলে মেয়েদের পড়া লেখা চালিয়ে যায়। অল্প বয়সে বিয়ের অর্থ এ হওয়া উচিত নয় যে , বিয়ে করলেই পড়াশোনা শেষ, কাজে লেগে যাও ! এই ব্যাপারটা সমাজে প্রচলন করতে হবে। ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর সচেতনতামূলক কর্মসূচী হাতে নিতে হবে।
লক্ষ করুন, একটি ছেলে অথবা মেয়ে পড়াশোনা শেষ করার ১০ বছর আগে যৌবনে প্রবেশ করে। তার কি ইচ্ছা করে না এই রঙ্গিন জগতে প্রবেশ করতে। বর্তমানে মোবাইল ইন্টারনেটের যুগে বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও দেখে ছেলে মেয়ে রা যৌনতার প্রতি বেশি আসক্ত হয়ে পড়ে । নিষিদ্ধ জিনিসটার প্রতি বেশি আকর্ষণ অনুভব করে। এক্ষেত্রে অধিকাংশ ছেলে মেয়ে তাদের নিজেদের কে ধরে রাখতে পারে না। তারা বিভিন্ন অবৈধ পন্থা অবলম্বনের চেষ্টা করে। ফলে বেড়ে যায় ধর্ষণের ঘটনা।
সাম্প্রতিক সময়ের পেপার পত্রিকার অহরহ ধর্ষণের খবর পড়লে টা বোঝা যাবে। সসেই সাথে যোগ হয়েছে । ধর্ষণ করে মোবাইলে ভিডিও করে অনলাইনে ছেড়ে দেয়া । ফলে ঘটছে আত্মহত্যার ঘটনা। এ সব থেকে বাংলাদেশের মানুষ , বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্ত করতে হলে এখনি সময় কৌশলী পদক্ষেপ নেয়া। শুধু বিদেশীদের প্রেসক্রিপশনে কাজ হবে না। নিজেদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে নিজস্ব কৌশলে এ সমস্যা নিরশন করতে হবে।
তাহলে ১৬ বছর বয়সে বিয়ে নিয়ে এত হৈচৈ কেন?
এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে চলুন আরেকবার দেখে নেই, নারীর জন্য বাল্যবিবাহ কেন ক্ষতিকর: বাল্যবিবাহের শিকার মেয়েদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে প্রসবকালীন মৃত্যু৷ অধিকাংশক্ষেত্রে দেখা যায় মেয়েটির শরীর সন্তান ধারনে সক্ষম হবার আগেই সে গর্ভধারণ করছে৷ ফলে প্রসবকালীন মৃত্যুর শঙ্কা অনেক বেশি থাকে৷ অল্পবয়সে মৃত্যুর হারও তাদের মধ্যে বেশি৷ শিশুমৃত্যুর হারও অল্প বয়সে যারা গর্ভধারণ করছেন তাদের ক্ষেত্রে বেশি৷ প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অল্পবয়সি মায়েদের ক্ষেত্রে ‘প্রিমেচিউর' শিশু এবং মৃতশিশু জন্মের হার বেশি৷ তাদের বাচ্চাদের অল্প বয়সে মৃত্যুর আশঙ্কাও বেশি থাকে৷ বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বাল্যবিবাহের শিকার হওয়া মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ বিয়ের সঙ্গে সঙ্গেই কার্যত শেষ হয়ে যায়৷ বিয়ের পর তারা বরং সন্তান নেয়া এবং পরিবারের কাজের প্রতি বেশি মনোযোগী হতে বাধ্য হয়৷ অল্প বয়সে মা হওয়াদের মেয়েদের ক্ষেত্রেও স্কুল ত্যাগ করার এবং অল্প বয়সে বিয়ে বসার প্রবণতা বেশি৷ পরিসংখ্যান বলছে, অল্প বয়সে বিয়ের শিকার মেয়েরা অল্প বয়সেই নিজেদের সকল অধিকার হারান৷ নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা, নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হবার সুযোগ তারা পান না৷ বরং পারিবারিক সহিংসতা এবং যৌন নিগ্রহের শিকার হওয়ার আশঙ্কায় তারা বেশি থাকেনা ৷
এরকম আরো অনেক বিজ্ঞানসম্মত, সামাজিক কারণ আছে যা বাল্যবিবাহের অনুকূলে যায় না৷ আর উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষেত্রে সেটা আরো অনেক বেশি প্রযোজ্য৷ আপনাদের জানানো প্রয়োজন, জার্মানিতে ১৬ বছর বয়সে বিশেষ বিবেচনায় বিয়ের সুযোগ রয়েছে। দেশটির সামাজিক ব্যবস্থা অনেক বেশি আধুনিক এবং বাস্তবসম্মত৷ ছেলেমেয়েদের ছোটবেলা থেকেই তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে দেয়া হয়, তাদের যৌন শিক্ষা দেয়া হয়৷ জোর করে তাদের দিয়ে কিছু করানো অধিকাংশক্ষেত্রেই সম্ভব নয়৷ তাই এদেশে বাল্যবিবাহ নিয়ে কোনো আলোচনাই নেই৷
১৬ বছরে বিয়ে কী বাংলাদেশে বৈধ হওয়া উচিত?
আমাদের মনে হয় উচিত। যে সমস্যার কারনে বিয়ে পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে তা হলো অপরিণত শরীরে সন্তান ধারন করা। যদি অল্প বয়সে স্বাস্থ্যগত শিক্ষা ছেলে মেয়েদের মধ্যে প্রসার ঘটান যায় , তারা যদি বুজতে পারে আমরা অল্প বয়সে বিয়ে করে শারীরিক মিলন করতে পারবো , কিন্তু সন্তান নেয়া উপযুক্ত বয়সের আগে ঠিক নয়। সেই সাথে নিজে লেখাপড়া চালাতে হবে। তাহলে কাজ টা ভাল ফল দেবে। এটাই জার্মানিতে হচ্ছে। এতে করে যৌন সংক্রান্ত অপরাধ প্রবণতা কমে যাবে। স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়ে রা অবৈধ সম্পর্কের দিকে যাবে না। দেশে অসামাজিক কার্যক্রম কমে যাবে। কারন , তখন যৌন কর্মে সক্ষম ও যৌন ক্রিয়া করতে ইচ্ছুক ছেলে মেয়েরা বৈধ পথে ধর্মীয় ও সামাজিক রীতিনীতি মেনে তাদের শারীরিক চাহিদা মেটাতে পারবে।
এখানে বিশেষ ভাবে লক্ষণীয় যে, বর্তমানে বাংলাদেশে চলমান প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কর্মসূচী কয়েক গুন বৃদ্ধি করতে হবে। যেন প্রত্যেক ছেলে মেয়ে বুঝতে পারে তাকে কখন কি করতে হবে? সেই সাথে অভিবাবকদেরও সচেতন করতে হবে যাতে বিয়ের পরেও ছেলে মেয়েদের পড়া লেখা চালিয়ে যায়। অল্প বয়সে বিয়ের অর্থ এ হওয়া উচিত নয় যে , বিয়ে করলেই পড়াশোনা শেষ, কাজে লেগে যাও ! এই ব্যাপারটা সমাজে প্রচলন করতে হবে। ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর সচেতনতামূলক কর্মসূচী হাতে নিতে হবে।
লক্ষ করুন, একটি ছেলে অথবা মেয়ে পড়াশোনা শেষ করার ১০ বছর আগে যৌবনে প্রবেশ করে। তার কি ইচ্ছা করে না এই রঙ্গিন জগতে প্রবেশ করতে। বর্তমানে মোবাইল ইন্টারনেটের যুগে বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও দেখে ছেলে মেয়ে রা যৌনতার প্রতি বেশি আসক্ত হয়ে পড়ে । নিষিদ্ধ জিনিসটার প্রতি বেশি আকর্ষণ অনুভব করে। এক্ষেত্রে অধিকাংশ ছেলে মেয়ে তাদের নিজেদের কে ধরে রাখতে পারে না। তারা বিভিন্ন অবৈধ পন্থা অবলম্বনের চেষ্টা করে। ফলে বেড়ে যায় ধর্ষণের ঘটনা।
সাম্প্রতিক সময়ের পেপার পত্রিকার অহরহ ধর্ষণের খবর পড়লে টা বোঝা যাবে। সসেই সাথে যোগ হয়েছে । ধর্ষণ করে মোবাইলে ভিডিও করে অনলাইনে ছেড়ে দেয়া । ফলে ঘটছে আত্মহত্যার ঘটনা। এ সব থেকে বাংলাদেশের মানুষ , বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্ত করতে হলে এখনি সময় কৌশলী পদক্ষেপ নেয়া। শুধু বিদেশীদের প্রেসক্রিপশনে কাজ হবে না। নিজেদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে নিজস্ব কৌশলে এ সমস্যা নিরশন করতে হবে।