আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি নিজেও নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছি। বর্তমানে আসনওয়ারী বর্তমান এমপি ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করছি। যেহেতু নির্বাচন খুব কাছে, সেজন্য এখন চূড়ান্ত পর্যায়ের জরিপ চলছে। কোথায় কার অবস্থান, সেগুলো খুঁজে দেখছি। যারা জনপ্রিয় ও মানুষের পাশে থাকেন এবং জয়ী হতে সক্ষম তাদেরই আগামী নির্বাচনে প্রার্থী করা হবে। জনবিচ্ছিন্ন কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না।
গণভবনে শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। দলের নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরুর নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, নির্বাচনের খুব বেশি বাকি নেই। এবারের নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জের হবে। জনপ্রিয়তা ও মানুষের ভোট নিয়েই জিততে হবে। তাই এখন থেকেই সবাইকে নির্বাচনের মাঠে নেমে পড়তে হবে। আওয়ামী লীগ ও নৌকার পক্ষে ভোট চাইতে হবে। জনসমর্থন বাড়াতে হবে।
দলের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আগামীতে মনোনয়ন পেতে ইচ্ছুকদের মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় বসে থাকলে মনোনয়ন পাওয়া যাবে না। নিজ এলাকার মানুষের ঘরে ঘরে যেতে হবে। মানুষের সুখ-দুঃখে তাদের পাশে থাকতে হবে। উঠোন বৈঠক ও গণসংযোগ করতে হবে। বর্তমান এমপি ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিজেদের মধ্যে বিরোধে জড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদ্গারের বিষয়ে সতর্ক করেন প্রধানমন্ত্রী।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টার এই বৈঠকে টানা তিন মেয়াদে তার সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঞ্চালনায় বৈঠকে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস