অপরাজনীতি না থাকলে দেশ আজ বহুদূর এগিয়ে যেতে পারতো বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, যারা স্বাধীনতা চায়নি, স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যারা পাকিস্তানিদের হয়ে যুদ্ধ করেছে, সেই জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি অপরাজনীতি করছে। এ অপরাজনীতি যদি দেশে না থাকতোম তাহলে দেশ আজকে বহুদূর এগিয়ে যেতে পারতো।
আজ বৃহস্পতিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাজধানীর রায়েরবাজারে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আওয়ামী লীগের দলীয় শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর বাসসের।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে যদি বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে অপরাজনীতি, সাম্প্রদায়িকতা আশ্রয়ী রাজনীতি, জ্বালাও-পোড়াও, ধংসাত্মক রাজনীতি না থাকতো আমরা ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধুর সমস্ত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারতাম।
তিনি বলেন, এ জাতিকে পঙ্গু করতেই ১৪ ডিসেম্বর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করেছিল পাক হানাদার বাহিনী। এদিন যাদের হত্যা করা হয়েছিলো, বাঙালি জাতির স্বাধীনতার লক্ষে মনন তৈরি করতে বঙ্গবন্ধুর সহযোগী হিসেবে তারা তাদের লেখনী ও বক্তব্যের মাধ্যমে নানাভাবে কাজ করেছিলেন। কিন্তু তাদের হত্যা করেও বাঙালি জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি। গত ৫২ বছরের বেশি সময়ে পথ চলায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ বহুদূর এগিয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে বাংলাদেশ পৃথিবীর কাছে একটি গর্বিত জাতি এবং বাংলাদেশের প্রশংসা সমস্ত বিশ্ব পঞ্চমুখ। অথচ দুঃখের বিষয় এখনো বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। আমরা যখন বিচারের ঘোষণা দিলাম তখন অনেকেই ভেবেছে এই বিচার হবে না। বিচার কার্যক্রম শুরুর পরও অনেকেই ভেবেছে কার্যক্রম শুরু হলেও শেষ হবে না। আবার রায় হবার পরও অনেকে ভেবেছিলো রায় হলেও বাস্তবায়ন হবে না। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে পৃথিবীর অনেক বড় রাষ্ট্রের রক্তচক্ষু ও চাপকে উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন, বিচারের রায় বাস্তবায়ন করেছেন। তিনি দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকলে সমস্ত মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার হবে।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস