উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদ ও নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধান সংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটে দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
রিট আবেদনে উক্ত অনুচ্ছেদ দুটির সংশোধনীকে সংবিধানের ২২ ও ১০৯ ও মাসদার হোসেন মামলায় রায়ে প্রদত্ত নির্দেশনার সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, —তা জানতে চেয়ে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিটে আইনসচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে বিবাদী করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য আজই বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।
রিটের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের হাতে অধস্তনও আদালতের নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কার্যকর করতে ১৯৭২ সালের সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে অধস্তন আদালতের পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব ছিল সুপ্রিম কোর্টের। কিন্তু ১৯৭৫ সালে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এই দায়িত্ব দেওয়া রাষ্ট্রপতির হাতে এককভাবে। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে পঞ্চম সংশোধনীতে রাষ্ট্রপতির এই দায়িত্ব প্রয়োগে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ সংক্রান্ত বিধানটি সংযোজন করা হয়।
মুন সিনেমা হল সংক্রান্ত মামালায় পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করা হয়। সেই অনুযায়ী ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনী করা হলেও ১১৬ অনুচ্ছেদের বিধানটি রেখে দেওয়া হয়। গত ৩১ অক্টোবর বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক বানীতে বলেন, ১১৬ অনুচ্ছেদ বিচার বিভাগের ধীরগতির অন্যতম কারণ। তাই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে প্রণীত ১৯৭২ সালের সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদটি পুন:প্রবর্তন হওয়া সময়ের দাবি।
অপরদিকে সংবিধানের ৯৫ (গ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন তৈরি সাপেক্ষে উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগের কথা। কিন্তু সংসদে কোনো আইন প্রণয়ন ছাড়াই ৪৫ বছর ধরে বিচারপতি নিয়োগ করা হচ্ছে, যা সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এই যুক্তিতে রিটটি দায়ের করা হয়েছে।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
রিট আবেদনে উক্ত অনুচ্ছেদ দুটির সংশোধনীকে সংবিধানের ২২ ও ১০৯ ও মাসদার হোসেন মামলায় রায়ে প্রদত্ত নির্দেশনার সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, —তা জানতে চেয়ে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিটে আইনসচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে বিবাদী করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য আজই বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।
রিটের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের হাতে অধস্তনও আদালতের নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কার্যকর করতে ১৯৭২ সালের সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে অধস্তন আদালতের পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব ছিল সুপ্রিম কোর্টের। কিন্তু ১৯৭৫ সালে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এই দায়িত্ব দেওয়া রাষ্ট্রপতির হাতে এককভাবে। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে পঞ্চম সংশোধনীতে রাষ্ট্রপতির এই দায়িত্ব প্রয়োগে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ সংক্রান্ত বিধানটি সংযোজন করা হয়।
মুন সিনেমা হল সংক্রান্ত মামালায় পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করা হয়। সেই অনুযায়ী ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনী করা হলেও ১১৬ অনুচ্ছেদের বিধানটি রেখে দেওয়া হয়। গত ৩১ অক্টোবর বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক বানীতে বলেন, ১১৬ অনুচ্ছেদ বিচার বিভাগের ধীরগতির অন্যতম কারণ। তাই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে প্রণীত ১৯৭২ সালের সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদটি পুন:প্রবর্তন হওয়া সময়ের দাবি।
অপরদিকে সংবিধানের ৯৫ (গ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন তৈরি সাপেক্ষে উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগের কথা। কিন্তু সংসদে কোনো আইন প্রণয়ন ছাড়াই ৪৫ বছর ধরে বিচারপতি নিয়োগ করা হচ্ছে, যা সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এই যুক্তিতে রিটটি দায়ের করা হয়েছে।
এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি