বাংলাদেশ

সমালোচনার মুখে ইন্টারনেট বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলো সরকার

এসএসএসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে ইন্টারনেটের গতি কমানোর নির্দেশ প্রত্যাহার করে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। নতুন নির্দেশনায় ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক রাখতে বলেছে সংস্থাটি।

সোমবার সকালে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)-এর একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

আইএসপিএবি সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে বিটিআরসি থেকে ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক রাখার নির্দেশনা আইএসপিএবি-কে জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে। তাই প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষা শুরুর দুই ঘণ্টা আগে থেকে মোট আড়াই ঘণ্টা করে আগামী ১০ দিন নির্দিষ্ট সময়ে ইন্টারনেটের গতি কম রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১২-২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইন্টারনেটের গতি কম থাকার ছিল। সরকারের গতকালের এ সিদ্ধান্তে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে বিরুপ মন্তব্য করেন। এমতাবস্থায় একদিন পরই ইন্টারনেটের গতি কমানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল সরকার।

গতকাল রোববার রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত (৩০ মিনিট) সারা দেশে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হয়। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নিদের্শনা অনুযায়ী ওই ৩০ মিনিট ইন্টারনেট সংযোগে ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দিয়েছিল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

এর আগে, ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর দেড় ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয় দেশে। পরে ইন্টারনেট চালু হলেও ২২ দিন কয়েকটি অ্যাপ বন্ধ রাখা হয়েছিল।

সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের দৈনিক ইন্টারনেট ব্যবহার ৪০০ জিবিপিএস ছাড়িয়ে গেছে। ৪০০ জিবিপিএসের মধ্যে ১২০ জিবিপিএস নেয়া হয় বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড(বিএসসিসিএল) থেকে এবং ১৮০ জিবিপিএস নেয়া হয় ভারতের আইটিসি অপারেটরদের মাধ্যমে।


এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি