বিশ্বব্যাপী বিপন্ন পাখিদের তালিকায় রয়েছে ‘কালামাথা কাস্তেচরা’। আর এদের অবস্থান বাইক্কাবিল। এরা আমাদের দেশে ‘দুর্লভ পাখি’ হিসেবে তালিকাভুক্ত। সম্প্রতি রাজশাহী বরেন্দ্র অঞ্চলের ধানের ক্ষেতে বিপন্ন এই পাখিদের অবস্থান পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, আশির দশকে এই পাখির দেখা মিলত ঢাকার আশেপাশের বিলে। এবার দেখা মিললো প্রায় ৪৪ বছর পর রাজশাহীতে। কয়েকবছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে রাজশাহী জেলার বেশ কয়েকটি নতুন নতুন কয়েকটি জাতের পাখির। একসময় খুব শিকার হতো এই পাখি। এখন আর তেমন পাখি শিকারীদের দেখা যায় বন্দুক নিয়ে। তবে, নাটোর এলাকাতে বেশ ফাঁদ পেতে কিছু অসাধু লোকেরা অতিথি পাখি ধরেন। এদিকে অনেকটা সচেতন কৃষকরা। কৃষকদের আশেপাশে ঘুরে বেড়িয়েও সাচ্ছন্দ্যভাবে চলাফেলা করে। কৃষকরাও তাদেরকে ধরে না, মারেনা, তাড়ায় না।
এই পাখিটির ইংরেজি নাম Black-headed Ibis এবং বৈজ্ঞানিক নাম Threskiornis melanocephalus। এর অপর কয়েকটি বাংলা নাম হলো- কাস্তেচরা, সাদা দোচরা, কাচিচোরা এবং কালোমাথা কাস্তেচরা।
আন্তর্জাতিক পাখি বিশেষজ্ঞ ও গবেষক ড. পল থমসন বলেন, ‘জলবায়ুর পরিবর্তন, জলাভূমি ধ্বংস, ক্রমাগত শিকার প্রভৃতির কারণে Black-headed Ibis পাখিটি আজ বিশ্বব্যাপী বিপন্ন। তবে বাইক্কা বিলের সাম্প্রতিক পাখিশুমারিতে আমি এদের ভালো সংখ্যায় খুঁজে পেয়েছি। শুধু এরাই নয়, আরো ৪ প্রজাতির বিপন্ন পাখিরাও রয়েছে। ’ এ পাখি সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, ‘এরা পালকহীন কালো গলা ও সাদা শরীরের বড় জলচর পাখি। ছেলে এবং মেয়ে পাখির চেহারা একই রকম। চোখ এবং পা কালো। লেজের শেষ মাথা কালচে। এদের দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৫ সেন্টিমিটার। লম্বা চঞ্চু (ঠোঁট) এর দৈর্ঘ্য ১৫ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার এবং পা প্রায় ১০ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার। ’ প্রাপ্তিস্থান সম্পর্কে ড. পল বলেন, ‘হাওর, বিল, নদী, ধানক্ষেত, প্লাবিতভূমিসহ উপকূলে সচরাচর ঝাঁক বেঁধে থাকে। বাংলাদেশ ছাড়াও পাকিস্তান, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, চীন, ইন্দ্রোনেশিয়া, মালেশিয়া, ইন্দেচীন বিচরণ রয়েছে।’ মাছ, ব্যাঙ, শামুক জাতীয় প্রাণী, কেঁচো, জলজ পোকা ও উদ্ভিদ এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে। উড়ার সময় এর বকের মতো গলা ভাঁজ করে না বলে জানান ড. পল থমসন এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
জানা গেছে, আশির দশকে এই পাখির দেখা মিলত ঢাকার আশেপাশের বিলে। এবার দেখা মিললো প্রায় ৪৪ বছর পর রাজশাহীতে। কয়েকবছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে রাজশাহী জেলার বেশ কয়েকটি নতুন নতুন কয়েকটি জাতের পাখির। একসময় খুব শিকার হতো এই পাখি। এখন আর তেমন পাখি শিকারীদের দেখা যায় বন্দুক নিয়ে। তবে, নাটোর এলাকাতে বেশ ফাঁদ পেতে কিছু অসাধু লোকেরা অতিথি পাখি ধরেন। এদিকে অনেকটা সচেতন কৃষকরা। কৃষকদের আশেপাশে ঘুরে বেড়িয়েও সাচ্ছন্দ্যভাবে চলাফেলা করে। কৃষকরাও তাদেরকে ধরে না, মারেনা, তাড়ায় না।
এই পাখিটির ইংরেজি নাম Black-headed Ibis এবং বৈজ্ঞানিক নাম Threskiornis melanocephalus। এর অপর কয়েকটি বাংলা নাম হলো- কাস্তেচরা, সাদা দোচরা, কাচিচোরা এবং কালোমাথা কাস্তেচরা।
আন্তর্জাতিক পাখি বিশেষজ্ঞ ও গবেষক ড. পল থমসন বলেন, ‘জলবায়ুর পরিবর্তন, জলাভূমি ধ্বংস, ক্রমাগত শিকার প্রভৃতির কারণে Black-headed Ibis পাখিটি আজ বিশ্বব্যাপী বিপন্ন। তবে বাইক্কা বিলের সাম্প্রতিক পাখিশুমারিতে আমি এদের ভালো সংখ্যায় খুঁজে পেয়েছি। শুধু এরাই নয়, আরো ৪ প্রজাতির বিপন্ন পাখিরাও রয়েছে। ’ এ পাখি সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, ‘এরা পালকহীন কালো গলা ও সাদা শরীরের বড় জলচর পাখি। ছেলে এবং মেয়ে পাখির চেহারা একই রকম। চোখ এবং পা কালো। লেজের শেষ মাথা কালচে। এদের দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৫ সেন্টিমিটার। লম্বা চঞ্চু (ঠোঁট) এর দৈর্ঘ্য ১৫ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার এবং পা প্রায় ১০ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার। ’ প্রাপ্তিস্থান সম্পর্কে ড. পল বলেন, ‘হাওর, বিল, নদী, ধানক্ষেত, প্লাবিতভূমিসহ উপকূলে সচরাচর ঝাঁক বেঁধে থাকে। বাংলাদেশ ছাড়াও পাকিস্তান, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, চীন, ইন্দ্রোনেশিয়া, মালেশিয়া, ইন্দেচীন বিচরণ রয়েছে।’ মাছ, ব্যাঙ, শামুক জাতীয় প্রাণী, কেঁচো, জলজ পোকা ও উদ্ভিদ এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে। উড়ার সময় এর বকের মতো গলা ভাঁজ করে না বলে জানান ড. পল থমসন এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস