আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের লন্ডন সফরে অভিনব প্রতিবাদের আয়োজন

আগামী ১৩ জুলাই ব্রিটেন সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তার এই সফরে অভিনব প্রতিবাদ জানানোর আয়োজন করেছে একটি গ্রুপ। এ লক্ষ্যে ট্রাম্পকে শিশুর রূপ দিয়ে ছয় মিটার লম্বা বেলুন বানানো হয়েছে। যাকে বলা হচ্ছে ‘ট্রাম্প বেবি বেলুন’। ইতোমধ্যে লন্ডন সিটির মেয়র সাদিক খান বেলুন উড়ানোর অনুমতিও দিয়েছেন।

আয়োজনকারীরা বলছেন, বেলুনে ট্রাম্পের চরিত্রের প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে। হিলিয়াম ভর্তি ছয় মিটার লম্বা বেলুন তৈরি করতে প্রাথমিকভাবে এক হাজার পাউন্ডের ফান্ড সংগ্রহের লক্ষ্য থাকলেও তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উঠেছে। বর্তমানে ফান্ডের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার পাউন্ড।

তবে ব্রিটেনের ইউকেআইপি দলের সাবেক প্রধান নিগেল ফারেজ টুইটারে বলেছেন, ‘এই পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন কোনো প্রেসিডেন্টের জন্য বড় ধরনের অপমানের বিষয় হবে।’

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৩ জুলাই শুক্রবার সকালে দুই ঘণ্টার জন্য পার্লামেন্ট স্কয়ার গার্ডেনের আকাশে উড়ানো হবে ওই ট্রাম্প বেবি বেলুন।

ফান্ড উত্তোলনের অন্যতম উদ্যোগক্তা লিও মুরি বলেছেন, ‘ট্রাম্প সত্যিই এটিকে ঘৃণা করেন, যখন লোকজন তাকে নিয়ে মজা করে।’

তিনি বলেন, ‘শুক্রবার যখন ট্রাম্প ব্রিটেন সফর করবেন তখন তিনি যেন বুঝতে পারেন যে, ব্রিটেন তাকে উপেক্ষা ও তাচ্ছিল্য করছে, আমরা সেটা নিশ্চিত করতে চাই।’

‘আর সেজন্যই আমাদের একটি গ্রুপ ওই বেলুন বানানোর জন্য পর্যাপ্ত অর্থ উত্তোলন করেছি এবং ট্রাম্পের ব্রিটেন সফরের সময় পার্লামেন্ট স্কয়ারের ওপর ওই বেলুন উড়ানো হবে, বলেন মুরি।’

লন্ডন মেয়রের পক্ষে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তিনি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারকে সমর্থন করেন এবং এটি যে প্রতিবাদের অভিনব উপায় হবে তা তিনি বুঝতে পেরেছেন।’

খবরে বলা হয়েছে, মেয়র সাদিক খানের একটি টিম আয়োজকদের সঙ্গে দেখা করেছে এবং পার্লামেন্ট স্কয়ার গার্ডেনকে বেলুন উড়ানোর গ্রাউন্ড পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।

আয়োজকরা দাবি করছেন, ট্রাম্প বেবি বেলুন যাতে উড়তে দেওয়া হয়, সেজন্য অনুমতি চেয়ে ১০ হাজারের বেশি মানুষ একটি আবেদনে সই করেছেন।

উল্লেখ্য, এর আগে লন্ডন ব্রিজে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা নিয়ে ট্রাম্প ও সাদিক খানের মধ্যে টুইটারে ব্যাপক বিবাদ হয়।

এদিকে, এক মুখপাত্র বলছেন, ট্রাম্প বেবি বেলুন উড়ানোর আগে আয়োজনকারীদের এয়ার ট্রাফিক সার্ভিসের অনুমতি নিতে হবে। কারণ পার্লামেন্ট স্কয়ার গার্ডেন একটি নিয়ন্ত্রিত এলাকা। এ ছাড়া লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের অনুমতির দরকার আছে বলেও জানান ওই মুখপাত্র।

তবে আয়োজনকারী গ্রুপের অন্যতম সদস্য ম্যাক্স ওয়েকফিল্ড বলছেন, ‘তাদের আস্থা আছে যে, সব ধরনের অনুমতি পাওয়া যাবে।’

 এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি