আন্তর্জাতিক

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামি

ইন্দোনেশিয়ায় সুলাওয়েসি দ্বীপে শুক্রবার ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর পালু শহরে সুনামি আছড়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।

বিএমকেজির ভূমিকম্প ও সুনামি বিভাগের প্রধান রাহমাত ত্রিয়োনো বলেন, ‘পালুতে একটা সুনামি হয়ে গেছে।’

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শহরটিতে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ বাস করে।

ইন্দোনেশিয়ান টিভিতে প্রচারিত স্মার্টফোনে তোলা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ওই দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী পালুতে সুনামি আসায় বহু মানুষ আতঙ্কে ছুটোছুটি করছেন।

সুনামি আসার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আতঙ্কে বিহ্বল হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। আজকের ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত একজন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

ইন্দোশিয়ার আবহাওয়া দফতর এবং জিওফিজিক্স দফতর থেকে এই ভূমিকম্প ও সুনামির ব্যাপারে আগাম পূর্বাভাস দিয়ে বলা হয়েছিল, সুনামিতে সমুদ্রের ঢেউ তিন মিটার পর্যন্ত উঁচুতে উঠে যেতে পারে। পরে আবার সেই বক্তব্য প্রত্যাহারও করে নেয়া হয়।

মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে প্রথমে জানিয়েছিল, ভূকম্পনের মাত্রা ৭ দশমিক ৭। তবে পরে জানানো হয়, রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৫ তীব্রতার কম্পন ধরা পড়েছে। ইন্দোনেশিয়ার পাশাপাশি জাপানেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। মাঝেমধ্যেই কেঁপে উঠে এই দ্বীপ রাষ্ট্র। ২০০৪ সালে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প এবং তার জেরে সুনামি আছড়ে পড়ে অন্তত ১৩টি দেশে। সব দেশ মিলিয়ে দু’লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় তাতে। শুধু ইন্দোনেশিয়াতেই মৃতের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ২০ হাজার।

ইন্দোনেশিয়ার মধ্যভাগে সুলাওয়েসি এলাকায় এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল বলে জানা গেছে। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের রিপোর্ট বলছে, মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে কম্পনের উৎপত্তিস্থল। ডোংগালা শহর থেকে উত্তর-পূর্বে তা ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

শুক্রবার সকালে একই জায়গা ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল। তখন রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৬ দশমিক ১। তাতে একজন নিহত হন, ১০ জন আহত হন। বহু বাড়ি কম্পনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

গত জুলাই ও আগস্ট মাসে পরপর ভূমিকম্পের কারণে ইন্দোনেশিয়ার লুম্বক দ্বীপে ৫০০ জনের বেশি মানুষ মারা যায়। তবে নতুন করে ভূমিকম্পের এলাকা সুলায়েসি দ্বীপ থেকে অনেকটা দূরে অবস্থিত।

ইন্দোনেশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ‘রিং অব ফায়ার’ অঞ্চলে অবস্থিত একটি দেশ। এই অঞ্চল বরাবরই ভূমিকম্প প্রবণ।

এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি