আন্তর্জাতিক

ওবামা-হিলারির নামে ডাকযোগে ‘প্যাকেট বোমা’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের নামে ডাকযোগে কে বা কারা বিস্ফোরক পাঠিয়েছে।

মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে, প্রাক্তন কর্মকর্তাদের নামে ডাকযোগে আসা চিঠি ও অন্যান্য সামগ্রী পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা টেকনিশিয়ানরা বুধবার সন্দেহজনক বিস্ফোরকের দুটি প্যাকেট শনাক্ত করেছেন।

নিউ ইয়র্ক সিটিতে হিলারি ও বিল ক্লিনটনের বাড়ির ঠিকানায় এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে ওবামার বাড়ির ঠিকানায় পার্সেল দুটি পাঠানো হয়েছিল।

এ ঘটনায় নিউ ইয়র্কে টাইম ওয়ার্নার ভবন থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে বিবিসি জানিয়েছে।

গত সোমবার নিউ ইয়র্ক সিটির শহরতলীতে সমাজহিতৈষী ও দাতা জর্জ সরোসের বাড়িতে বিস্ফোরক পাওয়ার দুদনি পর এ ঘটনা ঘটল। ধনকুবের ব্যবসায়ী জর্জ সরোসের বাড়ির মেইল বক্সে ওই বিস্ফোরক (পাইপ বোমা) পাওয়া যায়।

নিউ ইয়র্কে টাইম ওয়ার্নার ভবনে সিএনএনের কার্যালয়। এই নিউজ নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, ওই ভবনের যে কক্ষে এসে ডাক জমা হয় সেখানে সন্দেহজনক প্যাকেট শনাক্ত হওয়ার পর তারা তাদের নিউজরুম থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়।

মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রথম প্যাকেটটিতে প্রাপক হিসেবে হিলারি ক্লিনটনের নাম লেখা ছিল এবং এটি শনাক্ত হয় মঙ্গলবার রাতে। এরপর বুধবার সকালে দ্বিতীয় প্যাকেটটি পাওয়া যায় যেখানে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ঠিকানা লেখা ছিল।

মার্কিন এক কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এপিকে বলেছেন, ক্লিনটন দম্পতির নিউ ইয়র্ক সিটির চাপাকুয়ার বাড়ির ঠিকানা লেখা একটি ডাক আসার পর তারা বিস্ফোরক বলে তা সন্দেহ করে প্যাকেট পরীক্ষা করেন। তবে বিস্ফোরেকে কারো কোনো ক্ষতি হয়নি।

নিউ ইয়র্কে এফবিআই বলেছে, তারা এ সম্পর্কে অবগত এবং এ বিষয়ে তদন্তে সহায়তা করছেন তারা।

দুদিন আগে ধনকুবের জর্জ সরোসের বাড়িতে পাঠানো বোমাটি তৈরি করা হয়েছিল প্রায় ছয় ইঞ্চি দীর্ঘ একটি পাইপের ভেতরে বিস্ফোরক পাউডার ভরে। পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা তা নিষ্ক্রিয় করেছে। কারা কেন ওই বোমা পাঠিয়েছিল, তা এখনও উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।

ব্যবসা ছেড়ে বর্তমানে দাতব্য কাজে নিয়োজিত থাকা সরোস বিভিন্ন সময়ে উগ্র ডানপন্থিদের সমালোচনার শিকার হয়েছেন। তবে তার বাড়িতে বোমা পাঠানোর দায় কেউ স্বীকার করেনি।

উপর্যুপরি এই বিস্ফোরক পাঠানোর ঘটনার নিন্দা করেছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারা স্যান্ডার্স। তিনি বলেন, এধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড খুবই জঘন্য। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনের মুখোমুখি করা হবে।

এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি