আন্তর্জাতিক

পরমাণু সমঝোতা লঙ্ঘন করলো ইরান

দ্বিতীয়বারের মতো পরমাণু  চুক্তির লঙ্ঘন করলো ইরান। ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তিতে পরমাণু সমৃদ্ধকরণের যে মাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল তা অতিক্রমের ঘোষণা দিয়ে রোববার এ লঙ্ঘন শুরু করলো দেশটি।

ইরানের পরমাণু সমঝোতার মধ্যস্থতাকারী আব্বাস আগাঘচি রোববার জানিয়েছেন, তেহরান ৫ শতাংশ পরমাণু সমৃদ্ধ করবে। চুক্তিতে এর সীমা ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

তিনি জানিয়েছেন, প্রতি ৬০ দিন অন্তর ইরান সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ৫ শতাংশ করে বাড়াবে। পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষর করা দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে পদক্ষেপ না নিলে তেহরান এ সমৃদ্ধকরণ অব্যাহত রাখবে। তবে এরই মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনার পথ খোলা থাকবে বলেও জানান আগাঘচি।

তিনি আরো জানান, চুক্তির লঙ্ঘন না করতে ইরান অনেক বেশি কূটনৈতিক ছাড় দিয়েছে। তবে চুক্তিতে যে বাধ্যবাধকতা ছিল তা পূর্ণ করতে ব্যর্থ হয়েছে ইউরোপীয় সরকারগুলো।

গত সপ্তাহে ইরান প্রথম পরমাণু সমঝোতা লঙ্ঘনের বিষয়টি প্রকাশ করে। ওই সময় তারা জানিয়েছিল, চু্ক্তিতে কম সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুদের ৩০০ কেজির যে মাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সেটি তারা অতিক্রম করতে শুরু করেছে।

আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার শর্তে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র গত বছর নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়। এরপরই ট্রাম্প প্রশাসন তেহরানের ওপর একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তেল রপ্তানি বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা এড়াতে উপায় বের করতে চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যকে ৭ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়েছিল ইরান। তবে ওই সময়ের মধ্যে দেশগুলো কোনো সমাধান বের করতে পারেনি।