হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে বহুদিন ধরেই
অনেকের কাছে গরু পবিত্র প্রাণী।
আর গরুর দেহের নানা বর্জ্য ব্যবহার
করে বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করার রীতিও
প্রচলিত রয়েছে। এ ধারায় নতুন মাত্রা
দিয়েছে গরুর মূত্র ও গোবর থেকে
প্রসাধনী সামগ্রী তৈরি। পঞ্চগাভি
আয়ুর্বেদিক নামে একটি প্রতিষ্ঠান গরুর
মূত্র, গোবর ও গরুর দুধ থেকে নানা
সামগ্রী প্রস্তুত করছে। তারা এসব
পণ্যের জনপ্রিয়তা বাড়ানো ও
বিপননের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের
সহায়তা নিচ্ছে।
তবে চিকিৎসকরা এসব পণ্য সম্পর্কে
সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন
এবং তা সবার জন্য ভালো নয় বলে
জানিয়েছেন। এসব পণ্যে বিশেষ কিছু
অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল পদার্থ রয়েছে, যা
সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করা না হলে
সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষতি হতে
পারে বলে জানিয়েছেন তারা। এছাড়া
আয়ুর্বেদিক পণ্যসহ কোনো চিকিৎসা
সামগ্রীই নিজে নিজে পছন্দ করে
ব্যবহার করা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন
ড. রোহিত বার্তেক।
দিল্লির বিভিন্ন শপিং মলে একটি পৃথক
শেলফে বিক্রি করা হচ্ছে কিছু
প্রসাধনী। আপাতদৃষ্টিতে এসব পণ্য
দেখতে অন্য সাধারণ সাবান, শ্যাম্পু,
স্ক্রাব, পিউরিফায়ার ও মেঝে পরিষ্কারক
মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে একটু
খেয়াল করে দেখলে বোঝা যাবে
এগুলো সাধারণ পণ্য নয়। এসব পণ্য তৈরি
হয়েছে গরুর মূত্র, গোবর ও দুধ
থেকে।
হোলি কাউ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা
অনুরাধা মোদি। ৫৫ বছর বয়সী এ
ব্যবসায়ী এসব পণ্য শহুরে
ক্রেতাদের কাছে জনপ্রিয় করার
চেষ্টা করছেন। তিনি জানান, আমি তিন
বছর আগে প্রথম গরুর মূত্র দিয়ে
প্রস্তুত পণ্য ব্যবহার করি। আমি বুঝতে
পারি পণ্যটির মাণ অসাধারণ। বিশেষ করে
ফেস প্যাক, শ্যাম্পু ও সাবান। আর
পণ্যগুলোর প্যাকেটও বিশেষ
ধরনের। এ কারণেই আমি পণ্যগুলো
বাজারজাত করতে আগ্রহী হয়েছি।’
বর্তমানে গরুর মূত্র, গোবর ও দুধ
থেকে প্রস্তুত যেসব পণ্য বাজারজাত
করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে-১. গাউ
আর্ক (গরুর পরিশোধিত মূত্র), মূল্য ৫০
রুপি (২০০ মিলি)
২. সাবান, ৭৫ গ্রাম বারের মূল্য ১৩ রুপি
৩. নাকের ড্রপ, ১৫ মিলি বোতলের
মূল্য ৬০ রুপি
৪. ফেস প্যাক, ২০০ গ্রাম প্যাকের মূল্য
১০০ রুপি
৫. হেয়ার টনিক, ১০০ মিলি বোতলের
মূল্য ৫৫ রুপি। সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস
অনেকের কাছে গরু পবিত্র প্রাণী।
আর গরুর দেহের নানা বর্জ্য ব্যবহার
করে বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করার রীতিও
প্রচলিত রয়েছে। এ ধারায় নতুন মাত্রা
দিয়েছে গরুর মূত্র ও গোবর থেকে
প্রসাধনী সামগ্রী তৈরি। পঞ্চগাভি
আয়ুর্বেদিক নামে একটি প্রতিষ্ঠান গরুর
মূত্র, গোবর ও গরুর দুধ থেকে নানা
সামগ্রী প্রস্তুত করছে। তারা এসব
পণ্যের জনপ্রিয়তা বাড়ানো ও
বিপননের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের
সহায়তা নিচ্ছে।
তবে চিকিৎসকরা এসব পণ্য সম্পর্কে
সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন
এবং তা সবার জন্য ভালো নয় বলে
জানিয়েছেন। এসব পণ্যে বিশেষ কিছু
অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল পদার্থ রয়েছে, যা
সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করা না হলে
সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষতি হতে
পারে বলে জানিয়েছেন তারা। এছাড়া
আয়ুর্বেদিক পণ্যসহ কোনো চিকিৎসা
সামগ্রীই নিজে নিজে পছন্দ করে
ব্যবহার করা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন
ড. রোহিত বার্তেক।
দিল্লির বিভিন্ন শপিং মলে একটি পৃথক
শেলফে বিক্রি করা হচ্ছে কিছু
প্রসাধনী। আপাতদৃষ্টিতে এসব পণ্য
দেখতে অন্য সাধারণ সাবান, শ্যাম্পু,
স্ক্রাব, পিউরিফায়ার ও মেঝে পরিষ্কারক
মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে একটু
খেয়াল করে দেখলে বোঝা যাবে
এগুলো সাধারণ পণ্য নয়। এসব পণ্য তৈরি
হয়েছে গরুর মূত্র, গোবর ও দুধ
থেকে।
হোলি কাউ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা
অনুরাধা মোদি। ৫৫ বছর বয়সী এ
ব্যবসায়ী এসব পণ্য শহুরে
ক্রেতাদের কাছে জনপ্রিয় করার
চেষ্টা করছেন। তিনি জানান, আমি তিন
বছর আগে প্রথম গরুর মূত্র দিয়ে
প্রস্তুত পণ্য ব্যবহার করি। আমি বুঝতে
পারি পণ্যটির মাণ অসাধারণ। বিশেষ করে
ফেস প্যাক, শ্যাম্পু ও সাবান। আর
পণ্যগুলোর প্যাকেটও বিশেষ
ধরনের। এ কারণেই আমি পণ্যগুলো
বাজারজাত করতে আগ্রহী হয়েছি।’
বর্তমানে গরুর মূত্র, গোবর ও দুধ
থেকে প্রস্তুত যেসব পণ্য বাজারজাত
করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে-১. গাউ
আর্ক (গরুর পরিশোধিত মূত্র), মূল্য ৫০
রুপি (২০০ মিলি)
২. সাবান, ৭৫ গ্রাম বারের মূল্য ১৩ রুপি
৩. নাকের ড্রপ, ১৫ মিলি বোতলের
মূল্য ৬০ রুপি
৪. ফেস প্যাক, ২০০ গ্রাম প্যাকের মূল্য
১০০ রুপি
৫. হেয়ার টনিক, ১০০ মিলি বোতলের
মূল্য ৫৫ রুপি। সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস