আন্তর্জাতিক

চীনকে ঠেকাতে বঙ্গোপসাগরে বৃহত্তম নৌমহড়া

যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং
ভারতের নৌবাহিনীর রণতরী, বিমানবাহী
যুদ্ধজাহাজ এবং সাবমেরিন গর্জে উঠেছে
বঙ্গোপসাগরে। উদীয়মান পরাশক্তি
চীনকে সামাল দেয়ার জন্য ভারতের পূর্ব
উপকূলে ওই তিনটি দেশ গত শনিবার যৌথ সামরিক
মহড়া শুরু করেছে। এই সামরিক মহড়া চীনের
বিরুদ্ধে তিনটি দেশের ক্রমবর্ধমান কৌশলগত
বন্ধনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন
পর্যবেক্ষক মহল। মালাবারে ছয় দিনব্যাপী ওই
সামুদ্রিক মহড়ায় দেশগুলোর সামরিক বাহিনীর
মধ্যে সমন্বয় এবং সাবমেরিন বিরোধী
যুদ্ধসহ নৌবাহিনীর লড়াইয়ের পূর্ণ কলাকৌশল
প্রয়োগ করা হবে বলে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা
হয়েছে। মহড়া উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র
ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্ট বিমানবাহী
যুদ্ধজাহাজ, একটি মিসাইল ক্রুজার এবং একটি পরমাণু
চালিত সাবমেরিনের উন্নয়ন করেছে।
ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্ট যুদ্ধজাহাজের
কমান্ডার ক্যাপ্টেন ক্রেগ ক্লাপারটন
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বলেন, ভারত
এবং জাপান উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রের চমৎকার
অংশীদার। আমাদের অনেক অভিন্ন লক্ষ্য
রয়েছে এবং নিশ্চয়ই ভারত ও জাপানের সাথে
আমাদের অত্যন্ত শক্তিশালী অর্থনৈতিক,
সামরিক এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক এবং বন্ধুত্ব বিদ্যমান
রয়েছে। তবে এই নৌমহড়ার ব্যাপারে
ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীনের একটি
রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র। ইন্দো-চীনের
সম্পর্ক ইতিবাচক ধারায় রয়েছে এবং এ সুসম্পর্ক
উভয় দেশের জন্যই মঙ্গলজনক মনে করে
বেইজিং। চীন-বিরোধী শিবিরে ভারতকে
টেনে নেয়ার যে কোনো মতলবের
বিরুদ্ধে তার সদাসতর্ক থাকা উচিত বলে মন্তব্য
করা হয়েছে চীনের সংবাদপত্র গ্লোবাল
টাইমসে। এদিকে প্রায় একই সময় চীনের
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী
একটি যৌথ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে চীনের গণমুক্তি
ফৌজ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারত ও
যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ মহড়াকে কখনোই
সুনজরে দেখে না চীন। তবে দক্ষিণ চীন
সাগর নিয়ে চীনের সাথে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার
প্রতিবেশী দেশগুলোর ক্রমবর্ধমান
উত্তেজনার মধ্যে এবার চীন বিশেষভাবে
উদ্বিগ্ন। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের কৃত্রিম
দ্বীপ নির্মাণের পর যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের
সেনা কর্মকর্তারা একে অপরের বিরুদ্ধে
সামরিক শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিচ্ছেন। এপি,
ওয়েবসাইট।