আন্তর্জাতিক

পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাশিয়া গেলেন শি জিনপিং

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাশিয়া পৌঁছেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আজ সোমবার তিনি মস্কোতে পৌঁছান। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদ সংস্থা তাসের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, শি জিনপিং ভনুকোভো বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন। আজ বিকেলে অনানুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করার কথা রয়েছে তার। আগামীকাল প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনার পরিকল্পনা রয়েছে। পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির তিন দিনের মাথায় চীনের প্রেসিডেন্ট এই সফরে গেলেন। তবে রাশিয়া বা চীন আইসিসির সদস্য রাষ্ট্র নয়। তাই আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে তারা আমলে নিচ্ছেন না বলেই স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। চীন এখন রাশিয়ার বড় মিত্র। বেইজিং এরই মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর লক্ষ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের এই প্রস্তাবের পর শি জিনপিং মস্কো সফরে গেলেন। তবে চীনের এই মধ্যস্থতার প্রস্তাবে পশ্চিমা দেশগুলোর দিক থেকে সেরকম সাড়া পাওয়া যায়নি। বরং পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার কাছে অস্ত্র সরবরাহ না করতে চীনকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর আগে জানিয়েছে, ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত মস্কো সফর করবেন। পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হুয়া চুনিইং বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপারে চীন একটি ‘নিরপেক্ষ ও ন্যায্য’ অবস্থান নেবে এবং শান্তির লক্ষ্যে আলোচনার জন্য গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে। কিছু মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, চীনা নেতার মস্কো সফরের পর প্রেসিডেন্ট শি এবং প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি টেলিফোনে কথা বলবেন। তবে এটি এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। ইউক্রেনের বিশ্বাস, প্রেসিডেন্ট শি মস্কোতে এই সফরে যাওয়ার মাধ্যমে বাকি বিশ্বকে এরকম একটা বার্তা দিতে চাইছেন যে, রাশিয়ার কিছু মিত্র অন্তত আছে। প্রেসিডেন্ট শি’র মস্কো সফরের কথা ঘোষণার ঠিক আগে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বলেছিলেন, আমার মনে হয় না চীন আসলে এখন তেমন মুহূর্তে পৌঁছেছে যে, তারা রাশিয়াকে অস্ত্র দিতে চায়, অস্ত্র দিতে প্রস্তুত। আবার আমার এটাও মনে হয় না যে, এই সফরের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে... মস্কোতে চীনা নেতার এই সফরই আসলে একটা বার্তা। তবে আমি মনে করি না যে, এর কোনো তাৎক্ষণিক ফল হবে।     এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস