আন্তর্জাতিক

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা ও সংযমের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও ইরানের হামলার পাল্টা জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা ও সংযমের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও ইরানের হামলার পাল্টা জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খবর রয়টার্সের।
১৩ এপ্রিল শনিবার ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়া জানাতে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে সোমবার দ্বিতীয়বারের মতো যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা বৈঠক করেন নেতানিয়াহু। ওই সভাতেই সিদ্ধান্ত হয় যে, ইরানের ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাব দেওয়া হবে।
যদিও হামলায় কোনো মৃত্যু বা তেমন ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি, তারপরও ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ হারজি হালেভি বলেছেন, তেল আবিব এর জবাব দেবে। তবে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সে সম্পর্কে তিনি কোনো বিবরণ দেননি। সোমবার ইরানের হামলায় স্বল্প ক্ষতিগ্রস্ত নোভাটিম বিমান ঘাঁটিতে গিয়েছিলেন হালেভি। সেখানেই তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েলের ভূখণ্ডে এত বেশি সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপের জবাব দেওয়া হবে। জরুরি অবস্থা তুলে নিলেও, উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে ইসরায়েল। আবার, ইরান আর কোনো উত্তেজনা চায় না বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান। তবে ইসরায়েল জবাব দিতে চাইলে, ইরানও বসে থাকবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলের সন্দেহভাজন হামলার প্রতিশোধ নিতে শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কয়েকশ’ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস