আন্তর্জাতিক

অস্ট্রেলিয়ার সিদ্ধান্তকে 'দুর্বল নেতৃত্বের ফল' বলে আখ্যায়িত করল ইরান

অস্ট্রেলিয়া সরকারের ইরানি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে 'অযৌক্তিক' আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে তারা ইহুদি-বিরোধী মনোভাব প্রচারের অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। আজ মঙ্গলবার রাতের এক বিবৃতিতে ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানান, কানবেরার এই পদক্ষেপ দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ঐতিহ্যের পরিপন্থী এবং গভীরভাবে দুঃখজনক। সেখানে দৃঢ়ভাবে বলা হয়, ইহুদি-বিরোধী মনোভাব ছড়ানোর অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। বরং মন্ত্রণালয় উল্লেখ করে, 'ইহুদি-বিরোধিতা মূলত পশ্চিমা-ইউরোপীয় সমাজে জন্ম নেওয়া একটি ঐতিহাসিক ঘটনা, যা বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন রূপে প্রকাশ পেয়েছে।' বিবৃতিতে অভিযোগ আনা হয় যে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে 'ইহুদি-বিরোধিতা' শব্দটির অপব্যবহার হচ্ছে। বিশেষ করে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে দখলদারিত্ব, বর্ণবৈষম্য ও গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদকে দমন করতেই এই শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে। গাজায় চলমান নৃশংসতা ও গণহত্যার নিন্দা জানিয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করে, ইসরায়েলি শাসনের কর্মকাণ্ডকে যারা সমর্থন করছে বা বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে, তারাই প্রকৃত দায় বহন করবে। মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ার এই অভিযোগ ও পদক্ষেপ মূলত বিশ্বের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে দিতে এবং দখলীকৃত অঞ্চলে ইসরায়েলের উত্তেজনা সৃষ্টিকারী নীতি বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। এছাড়া বিবৃতিতে জানানো হয়, ইরান প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করছে। একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়াকে তাদের 'ভ্রান্ত সিদ্ধান্ত' পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে জানায়, এই সিদ্ধান্ত থেকে সৃষ্ট সম্ভাব্য সব পরিণতির দায়ভার অস্ট্রেলিয়াকেই নিতে হবে। এর মধ্যে দেশটিতে বসবাসরত ইরানি শিক্ষাবিদ ও প্রবাসীদের জন্য উদ্ভূত সমস্যাও অন্তর্ভুক্ত।

এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস