স্মার্টফোন আর বন্দুক। দুটিই বিশ্বজুড়ে এখন আলোচিত। উভয় মানুষের হাতিয়ার। স্মার্টফোন- উত্তর আধুনিক যুগের সহজ যোগাযোগ এবং বন্দুক সন্ত্রাসী-জঙ্গি এবং তাদের প্রতিপক্ষ নিরাপত্তা বাহিনীর হাতিয়ার। এ দুই হাতিয়ার মানুষ বাঁচাতে এবং মানুষ মারতে সমানে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বদৌলতে যত যন্ত্র বা হাতিয়ার আবিষ্কৃত হয়েছে, তার পেছনে ছিল মহৎ উদ্দেশ্য। বন্দুক প্রতিপক্ষের হামলা রুখতে চীনাদের হাতে তৈরি হয়। কিন্তু শুরু থেকেই এর অপব্যবহারের ইতিহাস আমাদের জানা।
২১ শতকের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব সৃষ্টিকারী স্মার্টফোন সমাজব্যবস্থার চেহারা ইতিবাচকভাবে পাল্টে দিচ্ছে। উল্টো দিকে বলতে হচ্ছে, সন্ত্রাসী বা জঙ্গিরা নেটওয়ার্ক তৈরি করছে এর মাধ্যমে। বিষয়টি কম-বেশি অনেকের জানা। কিন্তু আশ্চর্য হতে হয় যখন শোনা যায়, স্মার্টফোনের চেয়ে বন্দুকের দাম কম।
যদি পাখি স্বীকারের বন্দুক হতো, কথা ছিল ভিন্ন। কিন্তু যে তুলনা করা হচ্ছে, সেখানে বন্দুক হচ্ছে রাশিয়ার কালাশনিকভ শ্রেণির বন্দুক আর স্মার্টফোন হচ্ছে হাজার পাঁচেক টাকায় পাওয়ায় এমন স্মার্টফোন। অবাক হতে হয় তখনই, যখন চাইলেই কয়েক হাজার টাকায় পাওয়া যায় শক্তিশালী বন্দুক।
এ শহরে অস্ত্র নিয়ে অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই। শহরের নাম দারা আদামখেল। শহরটি পাকিস্তানের। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ার থেকে ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে গেলে দেখা যাবে মুদি দোকানের মতো খোমালেমাভাবে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র। বিশেষ করে টাকা দিলেই বন্দুক, পিস্তল সেখানে আটা-ময়দার মতোর পাওয়া যায়। ধরনে কালোবাজার হলেও দারা আদামখেল মূলত অস্ত্রের খোলাবাজার।
দারা আদামখেলের অস্ত্রের কারিগররা এতটাও পাকা হয়ে উঠেছেন যে, যেমন-তেমন ধাবত পদার্থ হাঁতুড়ি পেটা করে তৈরি করতে পারেন কালাশনিকভ শ্রেণির শক্তিশালী বন্দুক। তৈরির পর তা চলে যায় কারবারিদের কাছে।
দারা আদামখেল শুধু অস্ত্রের কালোবাজারের জন্য নয়, বহু পরিচিতি পেয়েছে ‘নকলের শহর’ হিসেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া ডিগ্রি, গাড়ির নম্বর পরিবর্তন, চোরাচালন, মাদকের অবৈধ ব্যবসা- কী নেই, যা সেখানে পাওয়া যায় না! পাকিস্তানি থেকে আফগান, আফগান থেকে পাকিস্তানি বানিয়ে দেওয়ার কাগজপত্র তৈরি হয় দেদারছে। যাকে বলে বহুমুখী অপরাধের আখড়া।
আদামখেলের কালোবাজারি চূড়ান্ত পরিণতি পায় ১৯৮০-এর দশক থেকে। বিশেষ করে সাবেক সোভিয়েত শাসনের বিরুদ্ধে আফগানদের যুদ্ধের সময় থেকে। আফগান যোদ্ধারা এ শহর থেকে সস্তায় অস্ত্রের জোগান পেতেন। আর এখন আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের জঙ্গিরা দার আদামখেল থেকে সহজে পেয়ে যাচ্ছে অস্ত্র।
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের জঙ্গিদের হাতে এত অস্ত্র কোথা থেকে আসে? নানা উৎস থেকে। এ নিয়ে এক দেশ আরেক দেশকে অভিযোগ করে থাকে। রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোতে তৈরি অস্ত্র দেখা যায় জঙ্গিদের হাতে। কীভাবে আসে তা নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই। তবে আসে। আর এ দুই দেশে অস্ত্রের জোগান আসে এই দারা আদামখেল থেকে।
এক্ষেত্রে পাকিস্তান সরকার কিছুটা সোচ্চার হয়েছে। দারা আদামখেলের বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশিচৌকি বসিয়েছে। কিন্তু তাকে কী? অস্ত্রের ব্যবসা চলছে নিজ গতিতে।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বদৌলতে যত যন্ত্র বা হাতিয়ার আবিষ্কৃত হয়েছে, তার পেছনে ছিল মহৎ উদ্দেশ্য। বন্দুক প্রতিপক্ষের হামলা রুখতে চীনাদের হাতে তৈরি হয়। কিন্তু শুরু থেকেই এর অপব্যবহারের ইতিহাস আমাদের জানা।
২১ শতকের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব সৃষ্টিকারী স্মার্টফোন সমাজব্যবস্থার চেহারা ইতিবাচকভাবে পাল্টে দিচ্ছে। উল্টো দিকে বলতে হচ্ছে, সন্ত্রাসী বা জঙ্গিরা নেটওয়ার্ক তৈরি করছে এর মাধ্যমে। বিষয়টি কম-বেশি অনেকের জানা। কিন্তু আশ্চর্য হতে হয় যখন শোনা যায়, স্মার্টফোনের চেয়ে বন্দুকের দাম কম।
যদি পাখি স্বীকারের বন্দুক হতো, কথা ছিল ভিন্ন। কিন্তু যে তুলনা করা হচ্ছে, সেখানে বন্দুক হচ্ছে রাশিয়ার কালাশনিকভ শ্রেণির বন্দুক আর স্মার্টফোন হচ্ছে হাজার পাঁচেক টাকায় পাওয়ায় এমন স্মার্টফোন। অবাক হতে হয় তখনই, যখন চাইলেই কয়েক হাজার টাকায় পাওয়া যায় শক্তিশালী বন্দুক।
এ শহরে অস্ত্র নিয়ে অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই। শহরের নাম দারা আদামখেল। শহরটি পাকিস্তানের। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ার থেকে ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে গেলে দেখা যাবে মুদি দোকানের মতো খোমালেমাভাবে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র। বিশেষ করে টাকা দিলেই বন্দুক, পিস্তল সেখানে আটা-ময়দার মতোর পাওয়া যায়। ধরনে কালোবাজার হলেও দারা আদামখেল মূলত অস্ত্রের খোলাবাজার।
দারা আদামখেলের অস্ত্রের কারিগররা এতটাও পাকা হয়ে উঠেছেন যে, যেমন-তেমন ধাবত পদার্থ হাঁতুড়ি পেটা করে তৈরি করতে পারেন কালাশনিকভ শ্রেণির শক্তিশালী বন্দুক। তৈরির পর তা চলে যায় কারবারিদের কাছে।
দারা আদামখেল শুধু অস্ত্রের কালোবাজারের জন্য নয়, বহু পরিচিতি পেয়েছে ‘নকলের শহর’ হিসেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া ডিগ্রি, গাড়ির নম্বর পরিবর্তন, চোরাচালন, মাদকের অবৈধ ব্যবসা- কী নেই, যা সেখানে পাওয়া যায় না! পাকিস্তানি থেকে আফগান, আফগান থেকে পাকিস্তানি বানিয়ে দেওয়ার কাগজপত্র তৈরি হয় দেদারছে। যাকে বলে বহুমুখী অপরাধের আখড়া।
আদামখেলের কালোবাজারি চূড়ান্ত পরিণতি পায় ১৯৮০-এর দশক থেকে। বিশেষ করে সাবেক সোভিয়েত শাসনের বিরুদ্ধে আফগানদের যুদ্ধের সময় থেকে। আফগান যোদ্ধারা এ শহর থেকে সস্তায় অস্ত্রের জোগান পেতেন। আর এখন আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের জঙ্গিরা দার আদামখেল থেকে সহজে পেয়ে যাচ্ছে অস্ত্র।
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের জঙ্গিদের হাতে এত অস্ত্র কোথা থেকে আসে? নানা উৎস থেকে। এ নিয়ে এক দেশ আরেক দেশকে অভিযোগ করে থাকে। রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোতে তৈরি অস্ত্র দেখা যায় জঙ্গিদের হাতে। কীভাবে আসে তা নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই। তবে আসে। আর এ দুই দেশে অস্ত্রের জোগান আসে এই দারা আদামখেল থেকে।
এক্ষেত্রে পাকিস্তান সরকার কিছুটা সোচ্চার হয়েছে। দারা আদামখেলের বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশিচৌকি বসিয়েছে। কিন্তু তাকে কী? অস্ত্রের ব্যবসা চলছে নিজ গতিতে।
এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি