আন্তর্জাতিক

তিন বছরের মেয়ের জীবন বাঁচাতে কিডনি দিলেন বাবা

পিতা শব্দের ভার কতটা তা বোধহয় পিতা না হওয়া পর্যন্ত অনুভব করা যায় না। ছোটবেলায় পিতা হারানোর পর অনেকেই বলেন, পিতা থাকতে, পিতার মর্ম বোঝে না কেউ। ছোটবেলার মানুষের মুখে শোনা এই কথাগুলো বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন আরো ভাবাতে শুরু করে।

সমাজ যাকে পিতা বলতে শেখালো সে আসলে কে? একজন পুরুষ! মায়ের স্বামী! এই চিরাচরিত পরিচয় ছাড়া যে বিষয়টি বৈজ্ঞানিক তা হলো, সৃষ্টির দুই সৃষ্টিকণার একটি অবশ্যই পিতার অংশ। পিতা হইতেই সৃষ্টি। অবশ্যই মায়ের গর্ভে। আর সৃষ্টিকর্তাই যদি আবার আরও একবার জীবন ফিরিয়ে দেয়! তাহলে তিনি নিশ্চয়ই শুধু পিতা শব্দে আবদ্ধ থাকতে পারেন না।dad

ঘটনা বলার আগে পিতার দায়িত্ববোধের কথা বোঝাতেই সূচনায় এত কথা লেখা। নিজের ৩ বছরের মেয়ের জীবন বাঁচাতে নিজের একটি কিডনি মেয়েকে দিলেন বাবা। কেবল খবর হিসেবে দেখলে এই ঘটনার সামাজিক ও মানবিক দায়িত্ববোধকে ছোট করা হবে। নিজের জন্মদিনে চোখ বন্ধ করে বদ্ধ কেবিনে শুয়ে ছিল তিন বছরের এজমি।

কোনো উপহার সেদিন এজমির বাবা তার হাতে তুলে দিতে পারেননি। তারপর মনে মনে ঠিক করে ফেলেন, মেয়ের জন্মদিনের উপহারে জীবন ফিরিয়ে দেবেন মেয়েকে। পাশাপাশি বিছানায় শুয়ে পিতার কিডনি প্রতিস্থাপিত হলো মেয়ের শরীরে।

তিন বছর বয়সেই কিডনি নষ্ট হয়ে যায়। তারপর একটানা ১৪ মাস ডায়ালেসিসের মধ্যে থাকেন ছোট্ট এজমি। এরপর শরীর আরো অবনতি হতে থাকে এজমির। ডায়ালেসিস চলাকালীন স্ট্রোক হয় তিন বছরের এই ফুটফুটে শিশুর। কোনো উপায় না পেয়ে কিডনি প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। তিন বছরের এজমির মা ও বাবা দুজনেই কিডনি দেবেন বলে ঠিক করেন। পরীক্ষার পর এজমির বাবা লির কিডনি এজমিকে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। যুক্তরাজ্যের ম্যানচেষ্টারের ৩৭ বছর বয়সী বাবা লি, তার ৩ বছরের সন্তান এজমিকে কিডনি দান করেন।


 এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি