ক্লাইমেট চেঞ্জ বা জলবায়ুর
পরিবর্তনের প্রভাব ইতোমধ্যেই আমাদেরকে ভোগ করতে হচ্ছে। কিন্তু সুদূর ভবিষ্যতের
দিকে চোখ দিলে বোঝা যায় এর প্রভাব আসলে কতটা প্রকট হতে পারে। চলুন দেখে নিই, জলবায়ু
পরিবর্তনকে অগ্রাহ্য করলে ৫০০ বছরের মাঝে কী অবস্থা হতে পারে আমাদের এই গ্রহটির। ২১০০ সাল থেকে শুরু করা
যাক। এ সময়ে পৃথিবী উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। ২০১৭ এর চাইতে প্রায় ৪ ডিগ্রি বেশি উত্তপ্ত
হবে। আফ্রিকা,
সাউথ আমেরিকা এবং ইন্ডিয়াতে গ্রীষ্মের তাপমাত্রা গড়ে ১১০ ডিগ্রি
ফারেনহাইট হবে। গরমের কারণে মারা পড়বে প্রচুর মানুষ। হিমালয় এলাকার গ্লেসিয়ার
বা হিমবাহগুলো গরমে গলে ২১শ শতকের চাইতে প্রায় ৩০ শতাংশ ছোট হয়ে আসবে।
পানির এই উৎস কমে আসার কারণে এশিয়াতে পানির বিশাল সংকট দেখা দেবে।
ইউরোপিয়ান আল্পসের গ্লেসিয়ারগুলো গলে একেবারে উধাও হয়ে যাবে। সাগরগুলো উত্তপ্ত এবং অম্লীয় হয়ে উঠবে। আপনার নাতি-নাতনিরা আর কোনো প্রবালপ্রাচীর দেখার সুযোগ পাবে না। সমুদ্রপৃষ্ঠ ৩ ফুট বেড়ে যাবে উচ্চতায়। হাজার হাজার মানুষ বাস্তুহারা হবে। তুভালু, কিরিবাতি এবং মার্শাল আইল্যান্ড এই দেশগুলোতে আর মানুষ থাকতে পারবে না। সমুদ্রতীরবর্তী প্রচুর মানুষ রিফিউজি হয়ে উঠবে। এর মাঝে থাকবে ১৩ মিলিয়ন আমেরিকান। ডিজনি ওয়ার্ল্ড এবং ডিজনিল্যান্ড দুটিই পানির নিচে চলে যাবে। ২২শ শতকে জনসংখ্যা হবে ৯.৫ বিলিয়ন। জনসংখ্যার ভারে খাদ্য, পানি ও শক্তির ঘাটতি দেখা দেবে, ফলে এগুলোর জন্য মানুষে মানুষে রেষারেষিও বেড়ে যাবে। এর মাঝে একটি ভালো সংবাদ হলো মানুষ মঙ্গলে বসতি স্থাপন করতে পারবে। ২০৫০ সাল নাগাদ সেখানে মানুষ পাঠানো হবে।
২৩শ শতাব্দীতে প্রাণীজগতের আরেকটি “মাস এক্সটিংশন” দেখা দেবে। বিলুপ্ত হবে প্রচুর প্রাণী। হাজারেরও বেশি উভচর প্রাণী যেমন ব্যাং, গিরগিটি, সালামান্ডার বিলুপ্ত হবে। এর পাশাপাশি পাখী, স্তন্যপায়ী এবং পোকার প্রজাতিও মুছে যাবে পৃথিবী থেকে। ২২০০ এবং ২৩০০ সালের মাঝে বেশকিছু বিপর্যয় দেখা দেবে। গ্রিনল্যান্ড আইস শিট পুরোপুরি ভেঙ্গে গলে যাবে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাবে ২০ ফুট। আর এই আইস শিট না থাকায় বেশি বেশি ভূমিকম্প এবং সুনামি দেখা দেবে উত্তর আটলান্টিকে। সাউথ আমেরিকা এবং আফ্রিকার কৃষিজমির পরিমাণ এক পঞ্চমাংশ কমে যাবে। আমেরিকা, চায়না এবং রাশিয়া কৃষিতে উন্নতি করবে বেশি।
২৫শ শতাব্দীর শেষদিকে ওয়েস্ট আটলান্টিক আইস শিটও ভেঙ্গে পড়বে আর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আরো ৩০ ফুট বেড়ে যাবে। এ তো গেলো ৫০০ বছরের কথা। যত সময় বাড়বে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেখা দেবে আরো দুর্যোগ। আর তাই সারা বিশ্বজুড়ে এই প্রভাব কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
পানির এই উৎস কমে আসার কারণে এশিয়াতে পানির বিশাল সংকট দেখা দেবে।
ইউরোপিয়ান আল্পসের গ্লেসিয়ারগুলো গলে একেবারে উধাও হয়ে যাবে। সাগরগুলো উত্তপ্ত এবং অম্লীয় হয়ে উঠবে। আপনার নাতি-নাতনিরা আর কোনো প্রবালপ্রাচীর দেখার সুযোগ পাবে না। সমুদ্রপৃষ্ঠ ৩ ফুট বেড়ে যাবে উচ্চতায়। হাজার হাজার মানুষ বাস্তুহারা হবে। তুভালু, কিরিবাতি এবং মার্শাল আইল্যান্ড এই দেশগুলোতে আর মানুষ থাকতে পারবে না। সমুদ্রতীরবর্তী প্রচুর মানুষ রিফিউজি হয়ে উঠবে। এর মাঝে থাকবে ১৩ মিলিয়ন আমেরিকান। ডিজনি ওয়ার্ল্ড এবং ডিজনিল্যান্ড দুটিই পানির নিচে চলে যাবে। ২২শ শতকে জনসংখ্যা হবে ৯.৫ বিলিয়ন। জনসংখ্যার ভারে খাদ্য, পানি ও শক্তির ঘাটতি দেখা দেবে, ফলে এগুলোর জন্য মানুষে মানুষে রেষারেষিও বেড়ে যাবে। এর মাঝে একটি ভালো সংবাদ হলো মানুষ মঙ্গলে বসতি স্থাপন করতে পারবে। ২০৫০ সাল নাগাদ সেখানে মানুষ পাঠানো হবে।
২৩শ শতাব্দীতে প্রাণীজগতের আরেকটি “মাস এক্সটিংশন” দেখা দেবে। বিলুপ্ত হবে প্রচুর প্রাণী। হাজারেরও বেশি উভচর প্রাণী যেমন ব্যাং, গিরগিটি, সালামান্ডার বিলুপ্ত হবে। এর পাশাপাশি পাখী, স্তন্যপায়ী এবং পোকার প্রজাতিও মুছে যাবে পৃথিবী থেকে। ২২০০ এবং ২৩০০ সালের মাঝে বেশকিছু বিপর্যয় দেখা দেবে। গ্রিনল্যান্ড আইস শিট পুরোপুরি ভেঙ্গে গলে যাবে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাবে ২০ ফুট। আর এই আইস শিট না থাকায় বেশি বেশি ভূমিকম্প এবং সুনামি দেখা দেবে উত্তর আটলান্টিকে। সাউথ আমেরিকা এবং আফ্রিকার কৃষিজমির পরিমাণ এক পঞ্চমাংশ কমে যাবে। আমেরিকা, চায়না এবং রাশিয়া কৃষিতে উন্নতি করবে বেশি।
২৫শ শতাব্দীর শেষদিকে ওয়েস্ট আটলান্টিক আইস শিটও ভেঙ্গে পড়বে আর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আরো ৩০ ফুট বেড়ে যাবে। এ তো গেলো ৫০০ বছরের কথা। যত সময় বাড়বে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেখা দেবে আরো দুর্যোগ। আর তাই সারা বিশ্বজুড়ে এই প্রভাব কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।