উঁচুনিচু দাঁত, ফাঁকা দাঁত, দাঁতের কামড় না পড়া বা দাঁত না মেলা, দাঁত মেলালে নিচের দাঁত ওপরের তালুতে স্পর্শ করা অথবা ওপরের দাঁত দিয়ে ঢেকে থাকা, প্রান্ত থেকে প্রান্ত কামড়, সামনের দাঁত অস্বাভাবিক সামনে, ঠোঁট খুললে দাঁত বেরিয়ে আসে, মাড়ির দাঁতের অবস্থানের অস্বাভাবিকতা, ঘোরানো দাঁত ইত্যাদি নানা সমস্যা যেমন গুরুতর মানসিক কষ্টের কারণ তেমনি মুখের মধ্যে নানা রোগের সূত্রপাত ঘটাতে পারে।
কারণ দাঁত ও চোয়ালের হাড়ের আকারের আয়তনের অসামঞ্জস্যতা, হাড় বড় হলে বা দাঁত ছোট হলে অথবা উলটোটা হলে এমন হতে পারে। দুধ দাঁত সময়ের আগে পড়ে গেলে বা নির্দিষ্ট সময়ের পরও রয়ে গেলে, অস্বাভাবিক আঙুল চোষার অভ্যাস, ঠোঁট বা তালু কাটা, চোয়ালের হাড়ের জন্মগত অস্বাভাবিকতা, ল্যাবিয়াল ফ্রিনামের অস্বাভাবিকতা, বংশগত, দাঁত ফেলে দিয়ে কৃত্রিম দাঁত সংযোজন না করা।
করণীয় : অর্থোডন্টিক চিকিৎসায় দাঁতকে এখন যে কোনো বয়সে সুসজ্জিত করা সম্ভব, তবে শুরু থেকেই এলোমেলো দাঁতের আশঙ্কা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে থাকা জরুরি। ফাঁকা দাঁতের ক্ষেত্রে বন্ডিং ফিলিংয়ের মাধ্যমে সহজেই সমাধান সম্ভব। আবার আকার দিতে বা চোয়াল ছোট করার জন্য কখনো অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়তে পারে।
ডা. রকিবুল হোসেন রুমী
সভাপতি, বিএফডিএস, সভাপতি, পাইওনিয়ার ডেন্টাল কলেজ
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস