লস এঞ্জেলেস

সান্তা আনায় লকডাউনে বেড়েছে ডাকাতি-ছিনতাই

করোনাভাইরাসের কারণে চারদিকে চলছে লকডাউন। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে গেলে সবাই স্বাস্থ্য বিধি মেনে মাস্ক ব্যবহার করতে হচ্ছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে দুষ্কৃতিকারীরা। ক্যালিফোর্নিয়ার অরেঞ্জ কাউন্টির শহর সান্টা আনায় বেড়েছে ডকাতির ঘটনা।

গত শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে সান্টা আনার একটি গ্যাস স্টেশনের কনভেনিয়ান্ স্টোরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। স্টোরের মালিক ইলিয়াস খাওয়ান জানান, ওই সময় ট্রাফিক ভেস্ট এবং টুপি পরিহিত দুজন ব্যক্তি স্টোরে ঢোকে। তাদের একজনের মুখে মাস্ক ছিল কিন্তু কোভিড-১৯ সংক্রমনের নিরাপত্তার কথা ভেবে দোকানে কর্তব্যরত কর্মচারী তাদের সন্দেহ করেননি। কিছুক্ষণ পর তাদের একজন ক্যাশ কাউন্টারের কাছে এসে ক্লার্কের দিকে বন্দুক তাক করে এবং মুখোশ পরিহিত অপর ডাকাত কাউন্টারের সব অর্থ কেড়ে নেয়।

ইলিয়াস খাওয়ান বলেন, “বিগত ১৭ বছর ধরে সান্তা আনায় এই কনভেনিয়ান স্টোর চালাচ্ছি, কিন্তু এধরনের কিছু কখনও ঘটেনি। এটা ভয়াবহ, আমরা জানি কোভিড-১৯ এর সংক্রমন রোধে আমাদের এই সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলো অনুসরন করতে হবে– কিন্তু ডাকাতটির জন্য মাস্ক, সানশেড এবং হুডি হচ্ছে একটি নিখুঁত ছদ্মবেশ। আমার কর্মীরা বিপদে আছে, কেননা এই ছদ্মবেশে কে কখন চলে আসে আসছে তা বোঝার উপায় নেই।"

খাওয়ান এবং তার কর্মীরা এতটাই অনিরাপদ বোধ করছেন যে, স্টোর সারারাত খোলা রাখার পরিবর্তে রাত ১০ টার পর স্টোর বন্ধ করে দিচ্ছেন, যা তার আয়ের প্রায় ২৫ শতাংশ নস্ট করছে।  তিনি তার দোকানে হুডি, ব্যাকপ্যাক এবং হ্যান্ডব্যাগ নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছেন। কর্মচারীরাও প্রচণ্ড ভয় পেয়েছে। তিনি বলছিলেন, "আমার দু'জন কর্মচারী বলেছে যে, তারা রাতের বেলা কাজ করতে চায় না।"

এদিকে সান্টা আনা শহরের পুলিশ নিশ্চিত করেছে, কোভিড-১৯ এর কারণে শহরজুড়ে লকডাউনের পর থেকে নগরীতে ডাকাতি প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

উল্লেখ্য, সান্তা আনা ক্যালিফোর্নিয়ার অরেঞ্জ কাউন্টির অন্তর্গত একটি ছোট্ট শহর, যার জনসংখ্যা ৩ লাখের কিছু বেশি। এখন পর্যন্ত কোভিড – ১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮৬ জন। কোভিড-১৯ এ সংক্রমনের সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকায় লকডাউনে কিছুটা শিথিলতা অবস্থান করছে এই শহরটিতে।

এলএবাংলাটাইমস/এসএস/এলএ