লস এঞ্জেলেস

ক্যালিফোর্নিয়ার করোনাকালীন নিয়ম ধর্মীয় স্বাধীনতার ব্যত্যয় ঘটাতে পারে!


করোনাকালীন এই সময়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় ধর্মীয় স্বাধীনতা বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়েছে মার্কিন বিচার বিভাগ। মঙ্গলবার গভর্নর গেভিন নিউসামকে লেখা এক চিঠিতে সাংবিধানিক এই অধিকার লঙ্ঘনের কথা জানানো হয়।

তিন পাতার ওই চিঠিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিচার বিভাগের মানবাধিকার শাখার প্রধান এরিক এস ডেরিয়াব্যান্ড অভিযোগ করেন ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলো তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ডেরিয়াব্যান্ড এর মতে, মার্কিন সংবিধানে মহামারির কারণ দেখিয়ে ধর্মীয় বিষয় থেকে বিরত রাখান কোনো ব্যতিক্রম নিয়ম নেই।                
      
ডেরিয়াব্যান্ড আরও প্রশ্ন তুলেন ক্যালিফোর্নিয়ার লকডাউন শিথিল করে ধর্ম অনুসারীরা সামাজিক দূরত্ব মেনে  ধর্মালয়ে জড়ো হতে পারছেন  না। অপরদিকে, প্রয়োজনীয় বা অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্যবসা-শিল্প নানা শর্তে চালু রাখা হচ্ছে। এতে বৈষম্য তৈরি হয়েছে। ধর্ম বিশ্বাসীরা অসাম্যের শিকার হয়েছেন।

এছাড়া লকডাউন শিথিলের প্রথমদিকে রেস্টুরেন্ট, শপিং মল ও অফিস খুলে দিলেও ধর্মীয় প্রার্থনালয়গুলো খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা আরও পরে থাকায় সমালোচনা করেন ডেরিয়াব্যান্ড। ক্যালিফোর্নিয়ার সংবিধানে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর আরও অগ্রাধিকার ও সম্পৃক্ততা থাকা উচিত বলে জানান ডেরিয়াব্যান্ড।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্যালিফোর্নিয়ার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো লকডাউন পরিস্থিতি মেনে চলছে। তবে বুট্টে কাউন্টিতে মা দিবস উপলক্ষে চার্চের একটি অনুষ্ঠান থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ার ঘটান ঘটে। সে থেকে এ ধরনের অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকা ও অংশ নেওয়াদের কোয়ারান্টাইনে রাখার চেষ্টা করে কাউন্টি কর্তৃপক্ষ।

মাইক জেকবসন নামের একজন যাজক ফেসবুকে লেখেন, ৭ সপ্তাহ ধরে আমরা চার্চ থেকে দূরে। আমাদের একসাথে হওয়া দরকার যা অনেকেই বুঝতে পারছেন না।

এর আগে বেশ কয়েকটি চার্চ আদালতের দারস্থ হয় যাতে গভর্নর নিউসামের চার্চে ধর্মপালনে নিষেধাজ্ঞা বাতিল করতে পারেন। তবে তারা সফল হননি।


/এলএ বাংলা টাইমস/এন/এইচ