লস এঞ্জেলেস

করোনা সংকটে চিকিৎসকদের নিয়ে এলএ বাংলা টাইমসের বিশেষ আয়োজন


সারা বিশ্ব জুড়ে চলছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। আর এই করোনা সংকটের শুরু থেকে কমিউনিটির প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে নানাবিধ কাজ করে যাচ্ছেন এলএ বাংলা টাইমস। ইতোমধ্যে এলএ বাংলা টাইমসের এই সকল আয়োজনে লস এঞ্জেলেসসহ যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনেকেই এলএ বাংলা টাইমসকে মেইল করে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। চলতি মাসের ৪ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসে করোনাকালে দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসকদের নিয়ে এলএ বাংলা টাইমসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় 'করোনা যোদ্ধাদের মুখোমুখি’ এর ১ম পর্ব।

প্রথম পর্বের এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নাসিমা বেগম, এমডি। তিনি ফুটহিল ইনফেকসিয়াস ডিজিজ মেডিক্যাল গ্রুপের সাইট্রাস ভ্যালি মেডিক্যাল সেন্টার, অ্যান্টিবায়োটিক স্টিয়োর্ডশিপ প্রোগ্রাম এর চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আরও উপস্থিত ছিলেন হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ইকবাল মুনির এমডি, পিএইচডি, চিফ অব এন্ডোক্রিনলজি, রিভারসাইড ইউনিভার্সিটি হেলথ সিস্টেম মেডিক্যাল সেন্টার ও অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর অব মেডিসিন, ইউনিভার্সিটি ক্যালিফোর্নিয়া, রিভারসাইড।

ডা. সানজিদা হোসেন পাপিয়া’র উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্ত্রীরোগ ও ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সালমা খান, এমডি, পিএইচডি। তিনি লোমা লিন্ডা ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের গাইনোকলজিক্যাল অনকোলজি বিভাগের অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

অনুষ্ঠানের শুরুতেই ডা. নাসিমা বেগম এলএ বাংলা টাইমস ও অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য চিকিৎসকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে করোনা নিয়ে তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তিনি জানান, লস এঞ্জেলেসের করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। মার্চে এখানে করোনা ভাইরাসের যে প্রাদুর্ভাব ছিল, তা ক্রমেই খারাপের দিকে গেছে। লস এঞ্জেলেসের এই সংক্রামক বিশেষজ্ঞ জানান, অর্থনৈতিক অবস্থার কথা চিন্তা করেই যখনই নিষেধাজ্ঞা একটু শিথিল করা হল। তার পরবর্তী ১৪ দিন পর থেকেই আবার লাফিয়ে বাড়তে শুরু করল করোনা সংক্রমণ।  

করোনা সংকট নিয়ে এলএ বাংলা টাইমসের আয়োজিত এই ভিডিও হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ইকবাল মুনির বিভিন্ন শারীরিক জটিলটা সম্পন্ন মানুষের করোনা ঝুঁকি নিয়ে তার অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন। তিনি জানান, নানাবিধ শারীরিক জটিলতায় থাকা মানুষের জন্য বিশেষ করে যাদের হাইপারটেনশন, ডায়বেটিজ কিংবা কার্ডিও ভাস্কুলার ডিজিজ রয়েছে; তারা এই ভাইরাসের ক্ষেত্রে ভালনারেবল। তবে ইমিউনিটি সিস্টেম কম থাকা এই সমস্ত রোগীদের জন্য একটা ভালো খবরও দিলেন ডাক্তার ইকবাল মুনির। তিনি জানান, বিষয়টা এই রকম নয় যে, ডায়বেটিজে আক্রান্ত ব্যক্তিদের করোনাতে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। বরং তাদের করোনায় যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে। শুধু ইমিউনিটি সিস্টেমের কারণেই উল্লেখিত স্বাস্থ্য জটিলতা থাকা মানুষের ক্ষেত্রে এটা ভালনারেবল। 

স্ত্রীরোগ ও ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সালমা খানের কাছে সমাজে প্রচলিত কিছু কুসংস্কার নিয়ে প্রশ্ন করেন উপস্থাপক ডা. সানজিদা হোসেন। ডা. সালমা খান জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে এই করোনাকালে যেন অনেকেই চিকিৎসক বনে গেছেন। নানা রকম তথ্য ঘুরে বেড়ায় ফেইসবুকে। তিনি জানান, এখানে আরেকটা বিষয় হল স্টিগমা। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে এটাই বেশি হচ্ছে। যেহেতু করোনার উৎপত্তি চীনে। তাই অনেকেই চীনাদেরকেই ভাইরাসের উৎস মনে করছে। এই বিষয়টা ঠিক না। তাছাড়া, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক জায়গায় কভিড চিকিৎসার সাথে যুক্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের বাসায় ঢুকতে দিতে চায় না বাড়িওয়ালারা। 

এলএ বাংলা টাইমস/এম/বিএইচ