লস এঞ্জেলেস

অরেঞ্জ কাউন্টিতে করোনাসৃষ্ট রোগ সাইকোসিসে আক্রান্ত শিশু শনাক্ত

অরেঞ্জ কাউন্টিতে প্রথমবারের মতো একটি শিশুর করোনাজনিত জটিলতার কারণে সৃষ্ট রোগ সাইকোসিস ধরা পরেছে। করোনার পর সাইকোসিস রোগটি শনাক্ত হওয়া খুবই দূর্লভ। তবে লস এঞ্জেলেস কাউন্টিসহ বিশ্বের অনেক দেশেই এই সাইকোসিসে আক্রান্ত রোগী চিহ্নিত অথবা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। সাইকোসিসে আক্রান্ত রোগীরা মূলত বাস্তবতার সাথে সংস্পর্শ হারিয়ে ফেলে, এমন কিছু দেখে অথবা শুনে বাস্তবে যার অস্তিত্ব নেই অথবা অদ্ভুত অভিজ্ঞতা বা চিন্তার মুখোমুখি হয়। চিকিৎসকদের ধারণা, সাইকোসিস করোনার সাথে সম্পর্কিত ইনফ্লেমেশন যেটি মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে। অরেঞ্জ কাউন্টির ডেপুটি হেলথ ডিরেক্টর ড. রেজিনা চিনসিও-খোং বলেন, যে কোনো ভাইরাল সিন্ড্রোমের কারণে এই ধরণের অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। তিনি বলেন, 'শিশুরা নিজ থেকে এসব অসংলগ্ন আচরণ করে না। তারা এমন কিছু দেখে আর শুনে যা স্বাভাবিক নয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় ব্রেইনের ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিজ থেকে এই সমস্যা হয়'। দেশজুড়ে শিশুদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যেতে থাকার মধ্যেই অরেঞ্জ কাউন্টিতে প্রথম এই ধরণের রোগী শনাক্ত হলো। চিনসিও-খোং বলেন, জুলাই মাস থেকে অরেঞ্জ কাউন্টিতে যে শিশুরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, তাদের কেউই টিকা নেয়নি। আর বয়স্কদের মধ্যে ৯০ শতাংশই টিকা নেয়নি। শিক্ষার্থীরা স্কুলে ফিরে যাবে শীঘ্রই আর এর আগে পিতামাতার সতর্ক থাকা উচিত বলেও জানান তিনি। শিশুরা টিকা নেওয়ার উপযোগী না হলেও বয়স্করা যেনো দ্রুত টিকা নেয়, সেই পরামর্শ দেন তিনি। চিনসিও-খোং বলেন, 'পরিবারের কোনো সদস্য যদি টিকা নেওয়ার উপযুক্ত থাকে, তবে দ্রুত টিকা নেওয়া উচিত। এতে পরিবারের শিশুরা সুরক্ষিত থাকবে'। কাউন্টি ডিরেক্টর অব ইমার্জেন্সি মেডিকেল সার্ভিসেস বলেন, 'করোনা পরিস্থিতি খারাপ দিকে মোড় নিচ্ছে'। ড. কার্ল স্কুলটয বলেন, হাসপাতালের সামনে রোগীসহ অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে৷ বিশেষ করে যেসব এলাকা কিছুটা দরিদ্র ও যেসব কমিউনিটিতে কম সংখ্যক জরুরি বিভাগ রয়েছে, সে সব এলাকায় সবচেয়ে খারাপ প্রভাব পরেছে। কোনো কোনো সময় রোগীসহ ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করতে হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্সকে, বলেন কার্ল। এলএবাংলাটাইমস/ওএম