লস এঞ্জেলেস

ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসের দ্বিতীয় বৃহত্তম দাবানলের তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে

ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসের দ্বিতীয় বৃহত্তম দাবানল এখন ক্ষয়ক্ষতির দিক দিয়ে রাজ্যের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলে পরিণত হয়েছে। প্রায় ১ মাস পূর্বে, উত্তর ক্যালিফোর্নিয়াতে ডিক্সি ফায়ারের সূত্রপাত ঘটে। এরপর এটি গ্রিনভাইল শহরকে প্রায় ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। এটি বর্তমানে ৫ লাখ একরের বেশি বড় আকার ধারণ করেছেও ১ হাজার ৪৫টির মত ভবন ধ্বংস করে ফেলেছে। দাবানলটি প্লুমাস, লাসেন, বুট্টে ও তেহামা কাউন্টিতে তাঁর ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এটি ক্ষয়ক্ষতির দিক দিয়ে  রাজ্যের ইতিহাসের ১৫তম ভয়াবহ দাবানল। বুধবার পর্যন্ত দাবানলটির শতকরা ৩০ ভাগ নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দাবানলটি আরো ভয়াবহ রুপ ধারণ করতে পারে। আরো ১৬ হাজারের মত স্থাপনা ডিক্সি ফায়ারের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। দমকলকর্মীরা ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে পুরোদমে কাজ করছে।  প্লুমাস কাউন্টির শেরিফের অফিসের প্রতিনিধি কার্লি কাবেরা জানান, কাউন্টির মোট জনসংখ্যার শতকরা ৩২ ভাগ মানুষকে স্থানান্তর করা হচ্ছে। ক্যাল ফায়ারের মুখপাত্র এডুইন জুনিগা জানান  যে তাঁরা গ্রিনভাইলের মত অন্য কোন শহরকে ধ্বংস হতে দেখতে চান না। গত বুধবারে (৪ আগস্ট) ১০০০ জনের শহরটি দাবানলের কারণে পুরোপুরিভাবে ধ্বংস হয়ে যায়, ধারণা করা হচ্ছে, দাবানলটি গ্রিনভাইলে ৫২৪টির মত স্থাপনা ধ্বংস করেছে। এর মধ্যে ৪৭২টি ছিলো আবাসস্থল ও ৫২টি ছিলো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। জুনিগা জানান, এর এক সপ্তাহ পর, ওয়েস্টউড ও লেক এলমানরের উত্তরাঞ্চল রক্ষার জন্য জনবল নিয়োগ করা হয়। এর পাশাপাশি দমকলকর্মীরা চেস্টারকে রক্ষা করার জন্য সেখানে পৌঁছিয়েছে। তিনি জানান, আগুনটি ইতোমধ্যে চেস্টারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে এবং চেস্টারের বাইরে ও ভিতরে হাল্কা ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে। জুনিগা আরো জানান যে দমকলকর্মীরা জনবসতিগুলো ঘুরে ঘুরে দেখছে যাতে দাবানলের কোন স্ফুলিঙ্গ উড়ে এসে কোন অগ্নিকান্ড না ঘটাতে পারে। লাসেন কাউন্টির শেরিফ অফিসের প্রতিনিধি ডেভ ওজিনরিচ জানান, পার্শ্ববর্তী প্লুমাস কাউন্টির তুলনায় লাসেন কাউন্টিতে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে।  দাবানলটির কারণে কাউন্টির সীমান্তবর্তী স্থান থেকে ২ হাজার মানুষকে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি জানান, প্লুমাস কাউন্টি থেকে স্থানান্তরিত লোকজন লাসেন কমিউনিটি কলেজ ও লাসেন হাই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। এক মাস আগে কাউন্টির দক্ষিণাঞ্চলে বেকওয়ার্থ কমপ্লেক্স ফায়ার আঘাত হানে ও ডোয়েল শহরের ক্ষতি সাধন করে। এই নিয়ে বিগত কয়েক মাস ধরেই কাউন্টির কর্মকর্তারা বিভিন্ন দাবানলের সাথে লড়াই করছে। এর ফলে তাঁরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। এই ব্যাপারে ওজিনরিচ বলেন, ‘আমরা ১০ দিন বেকওয়ার্থ কমপ্লেক্স ফায়ারের মোকাবিলা করেছি। এর ১ সপ্তাহ পরেই আবার ডিক্সি ফায়ার কাউন্টিতে আঘাত হানে। আমাদের বিভাগ সহ অন্যান্য বিভাগের মানুষেরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। বিগত কয়েক বছরের জুলাই ও আগস্ট মাস আমাদের জন্য অনেক পরিশ্রমের সময় হয়ে দাঁড়িয়েছে।‘ এলএবাংলাটাইমস/এমডব্লিউ