লস এঞ্জেলেস

ওয়েস্ট কোস্ট থেকে কমে যাচ্ছে রপ্তানির পরিমাণ

করোনার কারণে বিশ্বজুড়েই চলছে মন্দা। এই মন্দা এখন আমেরিকার উপরেও প্রভাব ফেলছে। ব্লু আলফা ক্যাপিটাল সংস্থা জানিয়েছে, জুলাই মাসে আমেরিকার শীর্ষ দশটি মাকন্টেইনার বন্দর থেকে রপ্তানি শতকরা ৮ দশমিক ৩ ভাগ হ্রাস পেয়েছে। বিগত বছরের একই মাসে রপ্তানির পরিমাণ ছিলো ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৬১৯ টিউ। একইসাথে আমদানি শতকরা ১৪ দশমিক ৩ ভাগ বৃদ্ধি পেয়ে ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৭৬ টিউ বৃদ্ধি পেয়েছে। নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক কনসালটেন্ট সংস্থাটি জানিয়েছে, আমদানি-রপ্তানির এর মধ্যেকার পার্থক্যের অনুপাত জুলাই মাসে ২ দশমিক ৭৫x এ দাঁড়িয়েছে যা একটি নতুন রেকর্ড। ২০২০ সালে অনুপাতটি ছিলো ২ দশমিক ১৯x ও ২০১৯ সালে ছিলো ১ দশমিক ৮৫x।  সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা জন ম্যাককাওন জানান যে, রপ্তানির উপর শুল্কের প্রভাব, যন্ত্রের ঘাটতি এবং বাহকদের কার্যক্রম দেশের রপ্তানি বাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তিনি বলেন, ‘যদিও শুল্ক বাড়ানো হয়েছিলো আমদানিকে সমৃদ্ধ করার জন্য, তথ্য দেখা জানা যাচ্ছে যে শুল্ক নেতিবাচকভাবে রপ্তানির ওপর প্রভাব ফেলছে।‘ দেশের পশ্চিমদিকের বন্দরগুলোর মধ্যে লস এঞ্জেলেস ও লং বিচের বন্দরগুলোর রপ্তানি যথাক্রমে শতকরা ২৭ দশমিক ৬ ভাগ ও ২০ দশমিক ৭ ভাগ হ্রাস পেয়েছে। লস এঞ্জেলেস বন্দরে আমদানি শতকরা ২ দশমিক ৯ ভাগ বৃদ্ধি পেয়ে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৩৬১ টিউ ও লং বিচ বন্দরে আমদানি শতকরা ১ দশমিক ৬ ভাগ বৃদ্ধি পেয়ে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৯৪০ টিউয়ে দাঁড়িয়েছে।   লস এঞ্জেলেস বন্দরের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জিন সেরোকা জানান যে ২০০৫ সালের ফ্রেবুয়ারির পর এই বছরের জুলাই মাসে রপ্তানির হার সবচেয়ে কম। বিগত ৩৩ মাসের মধ্যে ২৯ মাসেই রপ্তানির হার কমেছে। সেরোকা বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় রপ্তানিযোগ্য পণ্য হচ্ছে বাতাস। বাতাসভর্তি কন্টেইনারই আমরা এশিয়াতে পাঠাচ্ছি।‘ অপরদিকে আমেরিকাতে এশীয় পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। সেপ্টেম্বর মাসে এশীয় পণ্যের চাহিদা শতকরা ২৯ ভাগ বৃদ্ধি পাবে ও বছর শেষে চাহিদা শতকরা ৫৯ ভাগ বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুক্রবারে  পার্শ্ববর্তী বন্দর লং বিচ তার মিডল হারবার অল-ইলেকট্রিক সুবিধার চূড়ান্ত পর্যায় শেষ করার ঘোষণা দিয়েছে। এর মাধ্যমে বন্দরটি তার থ্রুপুট বৃদ্ধি করবে। তৃতীয়, এবং চূড়ান্ত নির্মাণ পর্যায় গত মাসে শেষ হয়েছে,। এর মধ্যে 14 জাহাজ থেকে তীর গ্যান্ট্রি ক্রেন এবং একটি 1,280 মিটার ঘাট অন্তর্ভুক্ত। লং বিচ বন্দরে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করার পরেও ব্লু আলফা ক্যাপিটাল জানিয়েছে যে পূর্ব দিকে বন্দরগুলো ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। জুলাই মাসে আমেরিকার পূর্ব দিকের বন্দরগুলোতে রপ্তানির হার শতকরা ২৭ দশমিক ৭ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে পশ্চিমদিকের বন্দরগুলোতে রপ্তানির হার বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৩ দশমিক ৯ ভাগ বিগত মাসে পূর্ব কোস্ট থেকে ১০ লাখ ২৩ হাজার ৩৯৮ টিউ পরিমাণ পন্য রপ্তানি করা হয়েছে। অপরদিকে পশ্চিম কোস্ট থেকে ১০ লাখ ৭২ হাজার ৬৭৮ টিউ পরিমাণের পণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে। অতি ধীরে হলেও পূর্ব দিকের বন্দরগুলো পূর্বের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী হয়ে উঠছে। অনুমান করা হচ্ছে, পূর্ব দিকের বন্দরগুলো একসময় পশ্চিমদিকের বন্দরগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে। এলএবাংলাটাইমস/এমডব্লিউ