লস এঞ্জেলেস

লস এঞ্জেলেসের হাসপাতালে কমতে শুরু করেছে করোনা আক্রান্ত রোগী

লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) হাসপাতালে রোগী ৩ হাজার ২৩৩ জন থেকে ২০০ জন কমে হয়েছে ৩ হাজার ১২ জন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ওমিক্রনের প্রভাবে লস এঞ্জেলেসে সংক্রমণ ও হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহে এটি আবারও কমতে শুরু করেছে। হাসপাতালে ভর্তি মোট রোগীর মধ্যে বর্তমানে জরুরি বিভাগে ভর্তি আছে ৬১৬ জন। শুক্রবার ভর্তি ছিল ৬৫২ জন। এর মধ্যে কিছু বাসিন্দা অন্যান্য রোগ নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পরে বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষা করালে তাদের দেহে করোনা ধরা পড়ে। শনিবার করোনাভাইরাসে মারা গেছেন আরও ৮৪ জন। এর মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৯৯৭ জন। তবে সাপ্তাহিক ছুটির কারণে এই সংখ্যা একত্র করে প্রকাশ করা হয়েছে। মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ লাখ ২০ হাজার ২১৬ জন বাসিন্দা, আর মারা গেছেন ২৯ হাজার ৩৬৪ জন বাসিন্দা। পাবলিক হেলথ ডিরেক্টর বারবারা ফেরের বলেন, ‘যদি শীতকালীন সংক্রমণের হার কমাতে হয়, তবে বাসিন্দাদের নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে সংক্রমণ হ্রাস পাবে’। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মধ্যে রয়েছে জনসমাগমে মাস্ক ব্যবহার করা, করোনা পজেটিভ শনাক্ত হলে ঘরের বাইরে বের না হওয়া এবং টিকা বা বুস্টার ডোজ গ্রহণ করা না থাকলে দ্রুত সেটি গ্রহণ করে ফেলা’। সংক্রমণ কমতে থাকলে মাস্ক ব্যবহারবিধি শিথিল করে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বারবারা ফেরের। তিনি বলেন, টানা সাতদিন ধরে আক্রান্তের সংখ্যা যদি ২ হাজার ৫০০ জনের নিচে থাকে, তবে মেগা ইভেন্টে মাস্ক ব্যবহার, স্কুল এবং চাইল্ড কেয়ার সেন্টারের আউটডোরে মাস্ক ব্যবহারবিধি নীতিমালা শিথিল করে দেওয়া হবে’।   লস এঞ্জেলেস কাউন্টি ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক হেলথ সূত্র জানিয়েছে, সাতদিনের গড় শনাক্তের হার কমতে শুরু করেছে আবার। শনিবার শনাক্তের হার কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ, এর আগেরদিন শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ৪ শতাংশ এবং তার আগের দিন বৃহস্পতিবার শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ৭ শতাংশ।    ফেরের জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত লস এঞ্জেলেস কাউন্টির ৫ থেকে এর বেশি বয়েসী ৮২ শতাংশ বাসিন্দা টিকার এক ডোজ হলেও গ্রহণ করেছেন। এছাড়া ৭৩ শতাংশ টিকার পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করেছেন এবং ৩৪ শতাংশ টিকার বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন। ১০ দশমিক ৩ মিলিয়ন বাসিন্দার মধ্যে এক ডোজ গ্রহণ করেছেন ৭৭ শতাংশ বাসিন্দা, টিকার পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করেছেন ৬৯ শতাংশ বাসিন্দা এবং ৩২ শতাংশ টিকার বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে টিকা গ্রহণের হারের দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে ৫ থেকে ১১ বছর বয়েসী শিশুরা। এই বয়েসী ৩২ শতাংশ বাসিন্দা টিকার এক ডোজ গ্রহণ করেছে এবং ২৩ শতাংশ টিকার পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করেছে।   ফেরের জানান, মোট জনসংখ্যার মাত্র ৯ শতাংশ হলো ৫ থেকে ১১ বছর বয়েসী শিশু। জানুয়ারি মাসে মোট আক্রান্তের ১৫ শতাংশই ছিল এই বয়েসী শিশু। আর মোট জনসংখ্যার ৭ শতাংশ হলো ১২ থেকে ১৭ বছর বয়েসী শিশু, এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে মোট আক্রান্তের ১৩ শতাংশ হলো এই বয়েসী শিশু।   এলএবাংলাটাইমস/ওএম