দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় ফেডারেল ইমিগ্রেশন এজেন্টদের ক্রমবর্ধমান অভিযান আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বিভিন্ন কমিউনিটিতে। এই প্রেক্ষাপটে সোমবার দক্ষিণ লস এঞ্জেলেসের সাউথ পার্ক এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা শেরিফ বিভাগের সদস্যদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়, মনে করে তারা ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট -এর সদস্য।
ঘটনাটি ঘটে ম্যাকিনলি এভিনিউ ও ইস্ট ৪৯তম স্ট্রিট সংলগ্ন একটি বাড়ির সামনে, যেখানে মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ভিডিওতে দেখা যায়, এলএ কাউন্টি শেরিফের ডেপুটিদের ঘিরে রেখেছে উত্তেজিত জনতা। শেরিফ বিভাগ জানায়, এটি তাদের একটি চলমান তদন্তের অংশ।
এক নারীকে একটি পিকআপ ট্রাকে তার ছোট শিশুসহ তুলে দিতে দেখা যায়, যাকে ডেপুটিরা সহায়তা করে এলাকা ত্যাগ করতে সাহায্য করেন। তবে কিছু অপ্রত্যাপ্ত খবরে বলা হয়, এক কিশোরীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
এক প্রতিবেশী জানান, “কারো কাছ থেকে শুনি আইস এসেছে। আমরা বাইরে এসে দেখি নিরীহ মানুষদের ঘিরে রেখেছে ডেপুটিরা। তারা বলছে তারা আইস না, কিন্তু আমাদের তো মনে হলো তারা সেটাই।”
স্থানীয় বাসিন্দা ইসাবেলা কালটিতলা বলেন, “তারা আমাদের মুখের ওপর হেসেছে, বলেছে আমরা ‘অজ্ঞ’। কিন্তু তারা মানুষদের পরিবার থেকে ছিঁড়ে নিয়ে যাচ্ছিল।”
জনপ্রিয় স্থানীয় সংগঠন ইউনিয়ন দেল বারিও ২০২০ সাল থেকে রাস্তায় নজরদারি চালাচ্ছে, যাতে আইস তৎপরতা শনাক্ত করা যায়। সংগঠনের সদস্য রন গচেজ বলেন, “৪৯তম ও ম্যাকিনলিতে মানুষ শেরিফদের মুখোমুখি হয়েছে, কারণ তারা এক ৩ বছরের শিশুকে তুলে নিয়েছে। এখন স্থানীয় তরুণরা স্কুটার ও সাইকেল নিয়ে আইসের খোঁজে পাড়া চষে বেড়াচ্ছে।” গচেজ আরও বলেন, “রাজনীতিবিদরা কিছু করছে না, পুলিশ ও শেরিফরা আইসের সঙ্গে হাত মিলাচ্ছে। এখন মানুষই একে অপরকে রক্ষা করার একমাত্র ভরসা।”
তবে এখনো পর্যন্ত শেরিফ বিভাগ এই অভিযানের বিষয়ে কোনো বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়নি কিংবা কেউ গ্রেফতার হয়েছে কি না, তাও নিশ্চিত করেনি। স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ, অনিশ্চয়তা আর অবিশ্বাস দিন দিন বাড়ছে।
এলএবাংলাটাইমস/এজেড