দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বাড়ির দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছালেও, বাড়ি কেনার আগ্রহ ব্যাপকভাবে কমে গেছে, এমনটাই জানিয়েছে অরেঞ্জ কাউন্টি রেজিস্টার। অর্থনৈতিক বিশ্লেষক জোনাথন ল্যান্সনার এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের এপ্রিলে এই অঞ্চলে বাড়ির গড় মূল্য ছিল $৮২০,০০০, যা ফেব্রুয়ারির সর্বোচ্চ রেকর্ড $৮২১,১২৫ থেকে মাত্র $১,১২৫ কম।
সরবরাহ ও চাহিদার সূত্র অনুযায়ী দাম বেশি থাকলে সাধারণত ক্রেতার সংখ্যাও বেশি থাকে, কিন্তু বাস্তবে ঘটছে উল্টো। ল্যান্সনার জানান, “এই এপ্রিল মাসে বাড়ি বিক্রির হার গত ২১ বছরের গড় বিক্রির চেয়ে ২৫% কম ছিল।”
এটি টানা ৩৬তম মাস, যেখানে বাড়ি কেনাবেচার হার ঐতিহাসিক গড়ের নিচে।
তুলনামূলকভাবে, ২০০০-এর দশকের অর্থনৈতিক মন্দায় (Great Recession) দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বাড়ি বিক্রির হার মাত্র ১৭ মাস গড়ের নিচে ছিল। এই তুলনা দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—আবার কি আসছে বাড়ির বাজার ধস?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন সম্ভাবনা থাকলেও বড় ধরনের ধসের আশঙ্কা কম। বর্তমানে মর্টগেজ বা হোম লোনের সুদের হার কিছুটা বেশি, তবে ভবিষ্যতে তা কিছুটা হ্রাস পেলে বাড়ি কেনা আরও সহজ হতে পারে।
ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব রিয়েলটর্স-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ লরেন্স ইউন বলেন, ভবিষ্যদ্বাণী ফিরে যায় মূলত সরবরাহ ও চাহিদার প্রশ্নে।
২০০০-এর দশকে বাজারে যতটা ঘর ছিল, তার চেয়ে চাহিদা কম ছিল। কিন্তু এখন ঠিক তার বিপরীত— “বর্তমানে বাজারে যথেষ্ট ঘর নেই। সরবরাহ এতটাই কম যে, দাম ধসের সম্ভাবনা কম।” Realtor.com-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৩ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২৩ লক্ষ থেকে ৬৫ লক্ষ হাউজিং ইউনিটের ঘাটতি রয়েছে।
ইউন বলেন, “যদি ঘাটতি থাকে, তাহলে চাহিদা যতই কম হোক না কেন, দাম হঠাৎ করে পড়ে যাবে— এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।” অর্থাৎ, বাড়ি কেনার আগ্রহ না থাকলেও, পর্যাপ্ত বাড়ির অভাবের কারণে দাম উচ্চ পর্যায়েই রয়ে গেছে, এবং এটাই হয়তো দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার নতুন বাস্তবতা। এলএবাংলাটাইমস/ওএম
২০০০-এর দশকে বাজারে যতটা ঘর ছিল, তার চেয়ে চাহিদা কম ছিল। কিন্তু এখন ঠিক তার বিপরীত— “বর্তমানে বাজারে যথেষ্ট ঘর নেই। সরবরাহ এতটাই কম যে, দাম ধসের সম্ভাবনা কম।” Realtor.com-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৩ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২৩ লক্ষ থেকে ৬৫ লক্ষ হাউজিং ইউনিটের ঘাটতি রয়েছে।
ইউন বলেন, “যদি ঘাটতি থাকে, তাহলে চাহিদা যতই কম হোক না কেন, দাম হঠাৎ করে পড়ে যাবে— এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।” অর্থাৎ, বাড়ি কেনার আগ্রহ না থাকলেও, পর্যাপ্ত বাড়ির অভাবের কারণে দাম উচ্চ পর্যায়েই রয়ে গেছে, এবং এটাই হয়তো দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার নতুন বাস্তবতা। এলএবাংলাটাইমস/ওএম