দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ফেডারেল অভিবাসন অভিযান চলছে, যার ফলে একাধিক গ্রেফতার ও রাজনৈতিক সক্রিয়তা দেখা দিয়েছে।
বুধবার লস এঞ্জেলেসের একটি হোম ডিপো পার্কিং লটে পেনস্কি রেন্টাল ট্রাক ব্যবহার করে ফেডারেল এজেন্টরা অভিযান চালায়। “ট্রোজান হর্স” নামে পরিচিত এই অভিযানে ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এটি “সামার অব রেজিস্ট্যান্স” অভিযানের অংশ।
পেনস্কি কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের ট্রাকের মালবাহী অংশে মানুষ পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং এই অভিযানে তাদের যানবাহন ব্যবহারের বিষয়টি তারা জানত না।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ জানায়, এই অভিযান স্থানীয় এমএস-১৩ গ্যাং সক্রিয়তার প্রতিক্রিয়ায় পরিচালিত হয়েছে। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কেটিএলএ এ বিষয়ে স্বাধীনভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি।
এদিকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নতুন ভিডিওতে দেখা গেছে, বুধবার আরেকটি পৃথক অভিযানে দুই নারীকে আটক করা হয়। তাদের একজন হলেন সাব্রিনা মেদিনা, যিনি গর্ভবতী ও মার্কিন নাগরিক। মেদিনা বুধবার রাতে মুক্তি পান এবং দাবি করেন, তার অপরাধমূলক রেকর্ড থাকা অনথিভুক্ত স্বামীর কাছে পৌঁছানোর জন্য তাকে আটক করা হয়েছিল। গত জুন মাসেও ফেডারেল এজেন্টরা মেদিনার বাসায় তার স্বামীকে খুঁজতে গিয়ে অভিযান চালিয়েছিল, যা কেটিএলএ কভার করেছিল।
অভিবাসী অধিকার সংগঠনগুলো আগামী মঙ্গলবার একটি ‘ডে অব অ্যাকশন’ কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছে, যার মধ্যে থাকবে বয়কট ও কারাভান র্যালি। যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে বয়কটের আহ্বান জানানো হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে ম্যাকডোনাল্ডস, টার্গেট, ওয়ালমার্ট এবং হোম ডিপো—যাদের সমালোচনা করা হচ্ছে ডিএইচএস/আইসিই অভিযানের বিরুদ্ধে নীরব থাকার জন্য।
লস এঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগের প্রধান জিম ম্যাকডনেল এসব অভিযানের সময় সম্ভাব্য সংঘর্ষ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তিনি কেটিএলএ ৫ নিউজকে বলেন, “এটি আমাদের জন্য কঠিন… আমরা অভিবাসন ছাড়া সবকিছু নিয়েই কাজ করি। কিন্তু এখানে ‘ব্লু-অন-ব্লু’ ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে কারণ আমরা জানি না কে জড়িত। আমি চেষ্টা করছি যেন কেউ আঘাত না পায়।”
এলএবাংলাটাইমস/ওএম
এলএবাংলাটাইমস/ওএম