আমাদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছাতে সাহায্য করে তারা, আর সড়ক নিরাপত্তা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু এখন ভ্যালির কিছু উবার চালক তাদের রাইড নেওয়া কমানোর কথা ভাবছেন।
সাল এসপারজা, যিনি সাত বছর ধরে উবার চালিয়ে আসছেন, বলেন, “সত্যি বলতে এটা আমাদের জন্য একটা ধাক্কা।” তিনি বলেন, মে মাসের শেষে থেকে তার বেতনে কাটা পড়েছে। “আমি এটা দৈনন্দিন কাজ হিসেবে করি। আমার অন্য কোনো চাকরি নেই। আমরা ভালোবাসি আমাদের কাজটা করার জন্য এখানে আসি।”
দানিতা উইলিয়ামসও চার বছর ধরে উবার চালক। তিনি বলেন, চালকদের আগে প্রতি মিনিট, প্রতি মাইল এবং বুকিং ফি অনুযায়ী টাকা দেওয়া হতো। এখন ‘আপফ্রন্ট ফেয়ার’ নামে নতুন মূল্য ব্যবস্থা চালু হয়েছে, যা অনেক কিছু পরিবর্তন করেছে।
উবারের ‘আপফ্রন্ট ফেয়ার’ হল নতুন দাম নির্ধারণের পদ্ধতি, যেখানে চালকরা যাত্রা শুরু করার আগে জানেন তারা কত আয় করবেন। এই নতুন পদ্ধতিতে বেস ফেয়ার তুলে ফেলা হয়েছে, আর চালকের আয় নির্ভর করছে গন্তব্য, ট্রাফিক এবং চাহিদার ওপর।
উবারের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, যাত্রায় যদি অপ্রত্যাশিত ট্রাফিক থাকে যা পথ বাড়িয়ে দেয়, তখন বেতন বাড়ে। কিন্তু উইলিয়ামস জানান, নতুন নিয়ম চালু হওয়ার পর তার আয় প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গেছে, ফলে তিনি এখন কম গাড়ি চালাচ্ছেন।
তিনি বলেন, “অনেক গ্রাহক জানিয়েছেন, কয়েকবার চেষ্টা করতে হচ্ছে গাড়ি পেতে। কারণ অনেক সময় যাত্রা দূর হলে আমরা তা বাতিল করে দিই, কারণ আয় সেই পরিমাণ নয়।”
চ্যানেল ৫ নিউজ উবারের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানিয়েছে, “রিও গ্র্যান্ডে ভ্যালির চালকরা টেক্সাসের সর্বনিম্ন মজুরির প্রায় তিন গুণ আয় করেন। আপফ্রন্ট ফেয়ার সিস্টেমের মাধ্যমে তারা আগে থেকে জানেন কত আয় হবে এবং কোথায় যাত্রা হবে, যা তাদের জন্য সুবিধাজনক। তারা তাদের পছন্দমতো রাইড নিতে পারেন।”
উইলিয়ামস জানিয়েছেন, বেতন কমে যাওয়ায় জীবিকা নির্বাহের জন্য তাকে অন্য একটি চাকরি করতে হচ্ছে। তিনি ও এসপারজা আশা করছেন উবার আগের মত বেতন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনবে।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম