মধ্যপ্রাচ্য

চার বছর পর তুর্কিয়ে সফরে সৌদি যুবরাজ

২০১৮ সালে সাংবাদিক খাসগজির হত্যার পর এই প্রথম তুর্কিয়ে (তুরস্কের নতুন নাম) সফরে সৌদির যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান। তুর্কিয়ে যখন কঠিন আর্থিক সংকটে পড়েছে, তখন সালমান সেদেশে গেলেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ডয়েচে ভেলে।

বুধবার (২২ জুন) আঙ্কারার প্রেসিডেন্ট হাউস চত্বরে সৌদির যুবরাজকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। ২০১৮ সালের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়েছিল। সালমানের সফরের ফলে সেই সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সৌদিতে যুবরাজ সালমানই এখন কার্যত দেশশাসন করছেন। তিনি প্রথমে মিশর ও জর্ডন যান, তারপর তুরস্কে এসেছেন। আগামী মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই অঞ্চল সফর করবেন। তার আগে সালমানও তিনটি দেশ সফর করলেন।

গত এপ্রিলে এরদোয়ান সৌদি আরব গিয়েছিলেন। তখন তিনি যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তুরস্কে সৌদির বিনিয়োগ নিয়েও কথা হয়।

বাইডেন জমানায় রিয়াধের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কেও ফাটল ধরেছে। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর ভূ-রাজনীতি বদলে গেছে। তাই সৌদির যুবরাজ সম্পর্কে বাইডেন তার আগের মনোভাব বদল করে সৌদি সফরেও যাচ্ছেন। এই অবস্থায় সৌদিও তাদের জোট প্রসারিত করতে চাইছে। তাছাড়া খাসগজির মৃত্যু ঘিরে তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সেসব সরিয়ে রেখে যুবরাজও এখন বিভিন্ন দেশ সফর করছেন।

আর্থিক সংকটে পড়ে তুর্কিয়ে এখন সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাইছে। তারা উপসাগরীয় দেশগুলি থেকে বিনিয়োগ আনতে চায়। সেজন্যই আমিরাত, মিশর, সৌদির সঙ্গে সুসম্পর্ক চাইছেন এর্দোয়ান।

এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এমই

[এলএ বাংলাটাইমসের সব নিউজ আরও সহজভাবে পেতে ‘প্লে-স্টোর’ অথবা ‘আই স্টোর’ থেকে ডাউনলোড করুন আমাদের মোবাইল এপ।]