মধ্যপ্রাচ্য

জিসিসির বাইরে নয়া সৌদি-আমিরাতি জোট

তেলসমৃদ্ধ উপসাগারীয় ছয় দেশের জোট গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কার মধ্যেই প্রভাবশালী দুই দেশ সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নতুন জোট গঠনের খবর এল।

মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জিসিসির বাইরে একটি নতুন সৌদি-আমিরাতি জোট গঠন করা হয়েছে। সামরিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যক ও সহযোগিতামূলক ক্ষেত্রসহ সর্বত্র দুই দেশের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করবে নতুন এই জোট।

জোটের কাজ পরিচালনার জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আমিরাতি কর্তৃপক্ষ। তবে এ বিষয়ে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ নিয়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জোট জিসিসির ছয় সদস্য সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ওমান, কাতার ও কুয়েতের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে।

সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও ইরানকে সাহায্য করার অভিযোগে ছয় মাস আগে কাতারের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের নেতৃত্বে অবরোধ আরোপ করে বাহরাইন, মিশর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। জিসিসির সদস্য না হয়েও আরব দেশ মিশর কাতারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।

জিসিসির শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে মঙ্গলবার সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা কুয়েতে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। তবে এই সম্মেলনের আগে সৌদি-আমিরাতি জোট গঠনের খবর জিসিসির অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটিতে মঙ্গলবার শুরু হয়েছে ৩৮তম জিসিসি শীর্ষ সম্মেলন। এবার সম্মেলনে গুরুত্ব পাচ্ছে কাতারের বিরুদ্ধে চার দেশের অবরোধ ও এই অচলাবস্থা থেকে উত্তরণ। জুন মাসে কাতারের সঙ্গে স্থল, আকাশ ও নৌপথে যোগাযোগ ছিন্ন করে তারা। এ নিয়ে বিবদমান সংকটের মধ্যে এই প্রথম জিসিসি সম্মেলন হচ্ছে।

গত মাসে বাহরাইনের বাদশা হুমকি দেন, কাতার যোগ দিলে জিসিসি সম্মেলন প্রত্যাখ্যান করবে তার দেশ। কিন্তু সম্প্রতি কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন, বুধবার কুয়েতে জিসিসি সম্মেলনে যোগ দেবেন কাতারি আমির। এ অবস্থায় সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে নতুন অংশীদারত্বমূলক জোট গঠনের খবর জিসিসি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কাকে আরো ত্বরাণ্বিত করছে।

কাতার ও উপসাগরীয় চার দেশের মধ্যে বিদ্যমান সংকট সমাধানে মধ্যস্থতার ভূমিকায় রয়েছে কুয়েত। এবারের জিসিসি সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট সব দেশকে এক মঞ্চে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে দেশটি। তবে আগামীকাল বুধবার জিসিসির সব সদস্য দেশের শীর্ষ নেতারা সম্মেলনে অংশ নেবেন কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়।

এলএবাংলাটাইমস/এমই/এলআরটি