ধর্ম

স্ত্রী হিসেবে নারীর প্রাপ্য ও অধিকার

নারীদের অধিকার বিষয়ে মানব ইতিহাসে সর্বপ্রথম সরব হয়েছে ইসলাম। ইসলাম মা হিসেবে, বোন হিসেবে, নিকটাত্মীয় হিসেবে এবং স্ত্রী হিসেবে দিয়েছে ভিন্ন ভিন্ন অধিকার। সেসব অধিকার সমাজে বাস্তবায়িত হলে পরিবার হয়ে উঠবে এক টুকরো জান্নাত। মহান আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রাসুল (সা.) শিক্ষা দিয়েছেন যে সবাই নিজ নিজ দায়িত্বে সক্রিয় হলে তখন কারো অধিকার ভূলুণ্ঠিত হবে না, সবাই নিজ নিজ অধিকার সুরক্ষিত পাবে। মালিক যখন তার দায়িত্ব পালনে সচেতন হবে, তখন শ্রমিকের অধিকারও যথাযথ আদায় হবে। স্বামী কর্তব্যপরায়ণ হলে আর স্ত্রীর অধিকার বাধাগ্রস্ত হয় না, স্ত্রী নিজ দায়িত্বে যত্নবান হলে স্বামীর অধিকার ক্ষুণ্ন হবে না। সবাই নিজ নিজ অবস্থানে অধিকার বুঝে পাবে। অধিকার আদায়ে সংগ্রামের প্রয়োজন হবে না। মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আর তোমরা তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করো। আর যদি তাকে তোমার অপছন্দও হয়, তবু তুমি যা অপছন্দ করছ আল্লাহ তাতে সীমাহীন কল্যাণ দিয়ে দেবেন'। অন্য হাদিসে রয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক ভালো মানুষ তারাই, যারা তাদের স্ত্রীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে'। ইসলামী শরিয়তে স্বামীর ওপর স্ত্রীর জন্য যে অধিকার সাব্যস্ত করেছে, তার সার কথা হলো: পূর্ণ মোহরানা আদায় করে দেওয়া, প্রয়োজনমাফিক অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানের ভালো ব্যবস্থা করা, স্ত্রীর সঙ্গে সদাচরণ করা, মাঝেমধ্যে মাহরাম আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়া, প্রয়োজনমাফিক দ্বিন শেখানোর ব্যবস্থা করা, ইসলামী শরিয়ত কর্তৃক নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত রাখা, প্রয়োজনমতো সহবাস ও জৈবিক চাহিদা পূরণ করা ইত্যাদি। এলএবাংলাটাইমস/এজেড