ধর্ম

আল্লাহর পথে দাওয়াতের গুরুত্ব

আল্লাহর বাণী ও রাসূল (সা.) এর হাদিস, ইসলামের কথা পৌঁছে দেওয়াই হলো দাওয়াতে তাবলিগ। তাবলিগ নানাভাবে করা যায়। তাবলিগের পথ ও পদ্ধতির মাপকাঠি হলো শরিয়তের মৌলিক নীতির ওপর থেকে যে কোনো পন্থা অবলম্বন করা যাবে। সময়, যুগ, ব্যক্তি, স্থান হিসাবে দাওয়াতের কর্মপন্থা পরিবর্তনশীল। আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমরা একটি আয়াত জানলেও তা অন্যের কাছে পৌঁছে দাও। এ পৌঁছানো হতে পারে-বলার মাধ্যমে, লিখার মাধ্যমে, শিখানোর মাধ্যমে, যুক্তি ও তর্কের মাধ্যমে, ব্যক্তিগত, দলবদ্ধ ইত্যাদি নানা পন্থায়। রাসূল (সা.) বিভিন্নভাবে দাওয়াত দিয়েছেন।হুজুর (সা.) বিভিন্ন জায়গায় চিঠির মাধ্যমে তাবলিগ করেছেন। দাওয়াত দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, তিনিই উম্মিদের মধ্য থেকে একজনকে রাসূল হিসাবে পাঠিয়েছেন, যিনি তাদের কাছে তার আয়াতগুলো পাঠ করেন, তাদের পবিত্র করেন এবং কিতাব ও হিকমতের শিক্ষা দান করেন। যদিও ইতঃপূর্বে তারা স্পষ্ট গুমরাহিতে লিপ্ত ছিল। আল্লাহতায়ালা বলেন, পড় তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে রক্তপিণ্ড হতে। পড়ো! তোমার পালনকর্তা অতি সম্মানিত। যিনি কলমের মাধ্যমে শিক্ষা দান করেছেন। রাসূল (সা.) প্রথমে একাকী দাওয়াত দিয়েছেন। প্রত্যেক নবি প্রথমে একাকী দাওয়াত দিয়েছেন। সাহাবায়ে কেরাম (রা.) হজরত আবুবকর (রা) থেকে শুরু করে প্রত্যেক সাহাবি একাকীভাবে দাওয়াত দিয়েছেন। পরে দলবদ্ধভাবেও দাওয়াত দিয়েছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, হে নবি আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি সাক্ষীরূপে এবং সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে আল্লাহর অনুমতিক্রমে তার দিকে দাওয়াতদাতা ও সমুজ্জ্বল প্রদীপরূপে।আল্লাহতায়ালা, মূসা (আ.) ও হারুন (আ.) কে একসঙ্গে দাওয়াত দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন। তেমনি তিনজন নবিকেও একসঙ্গে পাঠিয়েছেন সঙ্গে সাধারণ লোকও যুক্ত হয়ে চারজন হয়েছে। সাহাবায়ে কেরামও কখনো একা, কখনো সম্মিলিত দাওয়াত দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, আমি তাদের কাছে দুজন রাসূল প্রেরণ করেছিলাম। অতঃপর ওরা তাদের মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। তখন আমি তাদের শক্তিশালী করলাম তৃতীয় একজনের মাধ্যমে। এলএবাংলাটাইমস/এজেড