ধর্ম

আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো বিশ্বইজতেমা

মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধ কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে রবিবার শেষ হলো ৫১তম বিশ্ব ইজতেমার।

আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন ভারতের দিল্লির মাওলানা সা’দ। তিনি আরবি ও উর্দু ভাষায় দোয়া করেন। তার সাথে দুই হাত তোলে 'আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন' ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত করেন লাখ লাখ মুসল্লি।

সকাল ১১টা ৪ মিনিটে শুরু হয় আখেরি মোনাজাত। শেষ হয় ১১টা ৩২ মিনিটে। ২৮ মিনিট স্থায়ী এ আখেরি মোনাজাত চলাকালে ইজতেমাস্থল ও আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে আমিন আমিন ধ্বনিতে চারপাশ প্রকম্পিত হয়ে উঠে।

মোনাজাতে অংশ নিতে এ দিন ভোররাত হতে চার দিক থেকে লাখ লাখ মুসল্লি পায়ে হেঁটেই ইজতেমাস্থলে পৌঁছান। ফজরের নামাজের সময় থেকেই ইজতেমা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে মুসল্লিরা মাঠের আশপাশের রাস্তা, অলি-গলিতে অবস্থান নেন। ইজতেমাস্থলে পৌঁছাতে না পেরে কয়েক হাজার মানুষ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ও আব্দুল্লাপুর-আশুলিয়া সড়কে অবস্থান নেন। যেদিকেই চোখ যায় সেদিকেই দেখা যায় শুধু টুপি-পাঞ্জাবি পরা মানুষ।

ইজতেমাস্থলের চারপাশের ৩-৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। আখেরি মোনাজাতের জন্য এদিন আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানাসহ বিভিন্ন অফিস-আদালতে ছিল ছুটি। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা না করলেও কর্মকর্তাদের মোনাজাতে অংশ নিতে বাধা ছিল না। নানা বয়সী ও পেশার মানুষ এমনকি মহিলারাও ভিড় ঠেলে মোনাজাতে অংশ নিতে সকালেই টঙ্গী এলাকায় পৌঁছেন।

হেদায়াতি বয়ান :

সকাল ৮টা ৫০ মিনিট থেকে মোনাজাতের আগে চলে হেদায়াতি বয়ান। হেদায়াতি বয়ান করেন ভারতের মাওলানা সা’দ। তার বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা হাফেজ যোবায়ের।

ভিআইপিদের মোনাজাতে অংশগ্রহণ :

বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে ইজতেমা ময়দানের জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমে বসে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান, গাজীপুর-২ আসনের সাংসদ জাহিদ আহসান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম আলম ও পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ, সাবেক টঙ্গী পৌরসভার মেয়ের আজমত উল্লাহ খানসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা নির্বিশেষে সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসলমান আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন।