ম্যাচজয়ী পয়েন্টটা পেতেই র্যাকেটটা ছুড়ে ফেলে দু-হাঁটু গেড়ে বসে পড়লেন কোর্টে। দুই হাত উপরের দিকে প্রসারিত করে আকাশের দিকে তাকালেন। এরপর চোখ দুটো বন্ধ করলেন। মুখখানা করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন ঈশ্বরের কাছে। মাত্রই প্রবল প্রতিপক্ষ রাফায়েল নাদালকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পুরুষ এককের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সপ্তম শিরোপা জয়ের অনন্য রেকর্ড গড়েছেন। নোভাক জোকোভিচের উদযাপনে একটু ভিন্ন মাত্রা তো পাবেই।
রয় এমারসন ও রজার ফেদেরারের সর্বোচ্চ ৬ শিরোপার রেকর্ড সার্বিয়ান তারকা ভাগ বসান গত মৌসুমেই। এবার তাই তার সামনে ওই দুই কিংবদন্তিকে পেছনে রেকর্ডটা নিজের করে নেওয়ার। একের পর এক ধাপ পেরিয়ে যখন ফাইনালে পা রাখলেন, তখনো একটা সংশয় মিশ্রিত প্রশ্ন অদৃশ্যে বাজছিল-জোকোভিচ রেকর্ডটা গড়তে পারবেন তো?
প্রশ্নটা উঠছিল, কারণ ফাইনালে তার প্রতিপক্ষ যে ছিলেন রাফায়েল নাদাল। নেটের দুই পাশে টেনিস ইতিহাসের অন্যতম সেরা দুই তারকা। মেলবোর্ন পার্কে দর্শকেরা তাই আশায় বুক বেঁধেছিল ধ্রুপদী এক লড়াই দেখার। ক্লাসিক ম্যাচের স্বপ্ন দেখছিল আসলে বিশ্বজুড়ে টেনিস ভক্তরাও। কিন্তু আজ মেলবোর্ন পাকে দর্শকদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
একেবারেই যে লড়াই হয়নি, তা নয়। তবে ধ্রুপদী লড়াই বলতে যা বোঝায়, নাদাল তা করতে পারেননি। রেকর্ড গড়ার ক্ষুধু মেটাতে জোকোভিচ ম্যাচটা জিতে নিয়েছেন অনায়াসেই। মাত্র দুই ঘণ্টা ৪ মিনিটেই শেষ করে দিয়েছেন ম্যাচের আয়ু। জিতেছেন সরাসরি ৬-৩, ৬-২, ৬-৩ গেমে।
সব মিলে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে এটা তার সপ্তম শিরোপা। মেলবোর্ন পাকে এর আগে ২০০৮, ২০১১, ২০১২, ২০১৩, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে শিরোপা উৎসব করেছেন। এই শিরোপা জয়ের মধ্যদিয়ে সার্বিয়ান কিংবদন্তি সর্বকালের সর্বোচ্চ গ্র্যান্ডস্লামজয়ীদের তালিকায় নিজেকে নিয়ে গেলেন তিন নম্বরে। সব মিলে এটা তার ক্যারিয়ারের ১৫তম গ্র্যান্ড স্লামের একক শিরোপা। তার উপরে কেবল দুজন, আজকের ‘পরাজিত নায়ক’ রাফায়েল নাদাল (১৭টি) ও সুইজ কিংবদন্তি রজার ফেদেরার (২০টি)।
জোকোভিচের আগে মেয়েদের এককে শিরোপা জিতেছেন জাপানি তারকা নওমি ওসাকা। পেত্রা কেভিতোভাকে ৭-৬ (৭-২), ৫-৭, ৬-৬ গেমে হারিয়ে জাপানি মেয়ে গড়েছেন দুদটি রেকর্ড। প্রথমত প্রথম জাপানি হিসেবেই শুধু নয়, প্রথম এশিয়ান হিসেবেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জিতলেন তিনি। এই শিরোপা জয়ের মধ্যদিয়ে প্রথম জাপানি, একই সঙ্গে প্রথম এশিয়ান হিসেবে ২১ বছরের নওমি পা রেখেছেন মেয়েদের র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে।
এলএবাংলাটাইমস/এস/এলআরটি
রয় এমারসন ও রজার ফেদেরারের সর্বোচ্চ ৬ শিরোপার রেকর্ড সার্বিয়ান তারকা ভাগ বসান গত মৌসুমেই। এবার তাই তার সামনে ওই দুই কিংবদন্তিকে পেছনে রেকর্ডটা নিজের করে নেওয়ার। একের পর এক ধাপ পেরিয়ে যখন ফাইনালে পা রাখলেন, তখনো একটা সংশয় মিশ্রিত প্রশ্ন অদৃশ্যে বাজছিল-জোকোভিচ রেকর্ডটা গড়তে পারবেন তো?
প্রশ্নটা উঠছিল, কারণ ফাইনালে তার প্রতিপক্ষ যে ছিলেন রাফায়েল নাদাল। নেটের দুই পাশে টেনিস ইতিহাসের অন্যতম সেরা দুই তারকা। মেলবোর্ন পার্কে দর্শকেরা তাই আশায় বুক বেঁধেছিল ধ্রুপদী এক লড়াই দেখার। ক্লাসিক ম্যাচের স্বপ্ন দেখছিল আসলে বিশ্বজুড়ে টেনিস ভক্তরাও। কিন্তু আজ মেলবোর্ন পাকে দর্শকদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
একেবারেই যে লড়াই হয়নি, তা নয়। তবে ধ্রুপদী লড়াই বলতে যা বোঝায়, নাদাল তা করতে পারেননি। রেকর্ড গড়ার ক্ষুধু মেটাতে জোকোভিচ ম্যাচটা জিতে নিয়েছেন অনায়াসেই। মাত্র দুই ঘণ্টা ৪ মিনিটেই শেষ করে দিয়েছেন ম্যাচের আয়ু। জিতেছেন সরাসরি ৬-৩, ৬-২, ৬-৩ গেমে।
সব মিলে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে এটা তার সপ্তম শিরোপা। মেলবোর্ন পাকে এর আগে ২০০৮, ২০১১, ২০১২, ২০১৩, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে শিরোপা উৎসব করেছেন। এই শিরোপা জয়ের মধ্যদিয়ে সার্বিয়ান কিংবদন্তি সর্বকালের সর্বোচ্চ গ্র্যান্ডস্লামজয়ীদের তালিকায় নিজেকে নিয়ে গেলেন তিন নম্বরে। সব মিলে এটা তার ক্যারিয়ারের ১৫তম গ্র্যান্ড স্লামের একক শিরোপা। তার উপরে কেবল দুজন, আজকের ‘পরাজিত নায়ক’ রাফায়েল নাদাল (১৭টি) ও সুইজ কিংবদন্তি রজার ফেদেরার (২০টি)।
জোকোভিচের আগে মেয়েদের এককে শিরোপা জিতেছেন জাপানি তারকা নওমি ওসাকা। পেত্রা কেভিতোভাকে ৭-৬ (৭-২), ৫-৭, ৬-৬ গেমে হারিয়ে জাপানি মেয়ে গড়েছেন দুদটি রেকর্ড। প্রথমত প্রথম জাপানি হিসেবেই শুধু নয়, প্রথম এশিয়ান হিসেবেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জিতলেন তিনি। এই শিরোপা জয়ের মধ্যদিয়ে প্রথম জাপানি, একই সঙ্গে প্রথম এশিয়ান হিসেবে ২১ বছরের নওমি পা রেখেছেন মেয়েদের র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে।
এলএবাংলাটাইমস/এস/এলআরটি