খেলাধুলা

এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের হার

প্রত্যাশার ম্যাচের শুরুতে আশা জাগিয়েও ভারতের কাছে হেরে গেছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে ধোনির দলের কাছে ৪৫ রানে হারে টাইগাররা।
২১ জীবন ফিরে পাওয়া রোহিত শর্মার ৫৫ বলে ৮৩ রানের ওপর ভর করে প্রথম ব্যাট করে বাংলাদেশকে ১৬৭ রানের টার্গেট দেয় ভারত। জবাবে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ১২১ রান তুলতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা।

টাইগারদের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামেন ৮ ম্যাচ খেলা সৌম্য সরকার ও ৩ ম্যাচ খেলা মোহাম্মদ মিথুন। তবে, শুরুটা ভালো করতে পারেনি স্বাগতিকরা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আশিষ নেহরা বোল্ড করেন ১ রান করা মোহাম্মদ মিথুনকে। পরের ওভারে সৌম্যকে ফিরিয়ে দেন জাসপ্রিত বুমরাহ। উইকেটের পেছনে ধোনির গ্লাভসবন্দি হওয়ার আগে সৌম্য ১৪ বলে ১১ রান করেন।

তৃতীয় ব্যাটসম্যান হয়ে বিদায় নেন ইমরুল কায়েস। দলীয় ১৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর রানের চাকা ঘোরান সাব্বির ও ইমরুল। তারা দু’জন স্কোরবোর্ডে আরও ৩৫ রান যোগ করেন। তবে, ইনিংসের দশম ওভারে অশ্বিনের বলে যুবরাজ সিংয়ের হাতে ধরা পড়েন ২৪ বলে ১৪ রান করা ইমরুল।

এরপর উইকেটে থেকে টাইগারদের টেনে নিতে থাকেন সেট ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান এবং সাকিব আল হাসান। তবে, ১৩তম ওভারে উইকেটের মাঝে পিছলে পড়ে রান আউট হন সাকিব আল হাসান (৩)। বিদায়ের আগে ২৩ রানের জুটি গড়েন সাব্বিরের সঙ্গে।

১৫তম ওভারে পান্ডের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন সাব্বির। ৩২ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় তিনি ৪৪ রান করেন।

১৭তম ওভারে নেহারা জোড়া আঘাত হানেন। ফিরিয়ে দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (৭) ও মাশরাফিকে। পরপর দুই বলে দুটি উইকেট তুলে নিলেও হ্যাটট্রিক বঞ্চিত হন নেহারা।
শেষ দিকে মুশফিক ১৭ বলে ১৬ ও তাসকিন ১৫ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। ভারতের হয়ে তিনটি উইকেট নেন নেহারা। আর একটি করে উইকেট পান বুমরাহ, পান্ডে ও অশ্বিন।

১৩তম ওভারে ক্রিজের মধ্যে সাব্বিরের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে ফেরেন সাকিব। এর তিন বল বাদেই ফেরেন সাব্বির।  হার্দিক পান্ডের বলে ঠিকঠাক টাইমিং করতে না পারলে বল সোজা ওপরে ওঠে যায়। তা সহজেই তালুবন্দী করেন উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা ধোনি। তাদের বিদায়ে উইকেটে আছেন মাহামুদউল্লাহ এবং মুশফিকুর রহিম।

১০ ওভারের শেষ বলে ইমরুলকে ফিরিয়ে টাইগারদের জন্য জয়টা আরও কঠিন করে তোলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ফেরার আগে ইমরুল সাব্বিরের সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি গড়েন।

দ্বিতীয় ওভারে আশিষ নেহেরার পর চতুর্থ ওভারে আঘাত হানেন জাসপ্রিত বুমরাহে। সৌম্যকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন তিনি। ধোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে সৌম্য সংগ্রহ করেন ১১ রান।

১৬৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই মোহাম্মদ মিঠুন আলীর উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। আশিষ নেহেরার বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ৩ বল থেকে মিঠুন সংগ্রহ করেন ১ রান।

এর আগে শুরুটা ভালো করলেও ক্যাচ মিসের মহড়ায় শেষ পর্যন্ত ভারতকে আটকে রাখা যায়নি। ১১তম ওভারে তাসকিনের বলে পয়েন্টে রোহিত শর্মার ক্যাচ সাকিব ফেললে চূড়ান্ত বিপর্যয় ঘটান। প্রতিদানও দিতে সময় নেননি রোহিত। শেষ তিন বলে এক ছয় দুই চারে টাইগার ভক্তদের হতাশ করেন তিনি।
যেখানে ১৫ ওভারে ভারতের রান ছিলো ৯৭, তিন ওভার বাদে তা দাঁড়ায় ১৫০এ।

শুরুতেই ধাওয়ান, কোহলি-রায়নাকে ফিরিয়ে দলকে শুভ সূচনা এনে দেন আল-আমিন, মাশরাফি এবং মাহামুদউল্লাহ।

দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলেই ধাওয়ানের অন স্ট্যাম্প গুড়িয়ে দেন টাইগার এ পেসার। তার বিদায়ে রোহিত শর্মাকে সঙ্গ দিতে মাঠে এসে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি বিরাট কোহলি।
মাশরাফি বিন মর্তুজার শিকারে পরিনত হন তিনি। মাহামুদউল্লাহর হাতে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ১২ বল খেলে সংগ্রহ করেন ৮ রান।

অষ্টম ওভারের শেষ বলে ফ্লাইট মিস করলে সরাসরি বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন সুরেশ রায়না। বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আগেই তাকে ফেরান মাহামুদউল্লাহ রিয়াদ।

বিপজ্জনক হয়ে ওঠা রোহিত-যুবরাজ জুটিতে ভাঙন ধরান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সাকিবের বল তুলে মারতে গিয়ে সীমানার কাছে সৌম্য সরকারের তালু বন্দী হন যুবি।

শেষ ওভারে ৫৫ বলে ৮৩ রান করা রোহিত এবং হার্দিক পান্ডেকে ফিরিয়ে ভারতীয়দের রানের চাকা কিছুটা আটকে দেন আল আমিন।