সিলেটে
যুবলীগ নেতা আবদুল আলী হত্যা মামলায় আওয়ামী আইনজীবীদের জামিন না দেয়ায় আদালতে তাণ্ডব
চালান আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা। তারা বিচারকের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং এজলাস কক্ষের
চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে বিক্ষোভ করেন। কয়েকটি আদালত কক্ষে তালাও ঝুলিয়ে দেন তারা। এ
সময় তাদের হাতে লাঞ্ছিত হন এক ফটোসাংবাদিক। মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
৪র্থ আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জে যুবলীগ নেতা আবদুল আলী হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয় সিলেট জেলা বারের তিন আওয়ামী আইনজীবীকে। তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আজমল আলী ও অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান ভুট্টু। মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কুদরত ই খুদার আদালতে এই তিন আইনজীবীর জামিন প্রার্থনা করেন আওয়ামী পন্থী আইনজীবীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন বিএনপি ও জামায়াত পন্থী অর্ধশতাধিক আইনজীবী। বিচারক শুনানি শেষে ওই তিন আইনজীবীর জামিন নামঞ্জুর করলে আইনজীবীরা এজলাসে হট্টগোল শুরু করেন। তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন বিচারকের সঙ্গে। একপর্যায়ে উত্তেজিত আওয়ামী পন্থী আইনজীবীরা এজলাস কক্ষে মারমুখী হয়ে চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। পরে তারা অন্যান্য বিচারিক আদালতে গিয়েও বিশৃংখলা সৃষ্টি করে কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করেন। একপর্যায়ে বিচারকরা এজলাস থেকে চলে যান। আইনজীবীরা কয়েকটি আদালতের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ সময় ছবি তুলতে গিয়ে ফটোসাংবাদিক নূরুল ইসলাম তাদের হাতে লাঞ্ছিত হন। আইনজীবীরা তাকে মারধর করে তার শরীরে ও চোখে জখম করে তার ক্যামেরা কেড়ে নেন। আইনজীবীরা সব আদালত বর্জন করে আদালত চত্বরে দিনভর বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে জেলা আইনজীবী সমিতি জরুরি বৈঠকে বসে। আইনজীবীদের জামিন না দেয়ায় কোর্ট বর্জনের সত্যতা নিশ্চিত করে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট একে সামিউল হক সাংবাদিকদের বলেন, জেলা বারের আইনজীবীদের নিয়ে সমিতির জরুরি বৈঠক চলছে। এ ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জানা যায়, গত বছরের ২৪ অক্টোবর কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হন যুবলীগ নেতা পাথর ব্যবসায়ী আবদুল আলী। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ওই তিন আইনজীবী হত্যার নেপথ্যে ছিলেন বলে স্বীকার করে। সাংবাদিক নূরুলের ওপর হামলার প্রতিবাদে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। দুপুরে সিলেট জেলা দায়রা জজ আদালতের সামনে থেকে মিছিল বের হয়। মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। পরে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন সিলেট ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন। হামলার ঘটনায় আইনজীবীদের সব ধরনের অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সদস্যরা। সাংবাদিকরা এ হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিচার দাবি করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সময় টিভির সিলেট ব্যুরো চিফ একরামুল কবির ইকু, ইকবাল মনসুর, দৈনিক মানবজমিনের ব্যুরো চিফ ওয়েছ খছরু, মাই টিভির সিলেট প্রতিনিধি টুনু তালুকদার, আলোকচিত্রী সাংবাদিক দুলাল হোসেন, সিলেট সুরমার স্টাফ রিপোর্টার মানউবী সিংহ শুভ, আনিসুর রহমান, মামুন হাসান, আলা উদ্দিন, বৈশাখী টিভির সিলেট প্রতিনিধি শিহাব উদ্দিন শিহাব, এইচএম আরিফ, আশকার আমিন লস্কর রাব্বি, কয়েছ আহমদ প্রমুখ।
জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জে যুবলীগ নেতা আবদুল আলী হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয় সিলেট জেলা বারের তিন আওয়ামী আইনজীবীকে। তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আজমল আলী ও অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান ভুট্টু। মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কুদরত ই খুদার আদালতে এই তিন আইনজীবীর জামিন প্রার্থনা করেন আওয়ামী পন্থী আইনজীবীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন বিএনপি ও জামায়াত পন্থী অর্ধশতাধিক আইনজীবী। বিচারক শুনানি শেষে ওই তিন আইনজীবীর জামিন নামঞ্জুর করলে আইনজীবীরা এজলাসে হট্টগোল শুরু করেন। তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন বিচারকের সঙ্গে। একপর্যায়ে উত্তেজিত আওয়ামী পন্থী আইনজীবীরা এজলাস কক্ষে মারমুখী হয়ে চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। পরে তারা অন্যান্য বিচারিক আদালতে গিয়েও বিশৃংখলা সৃষ্টি করে কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করেন। একপর্যায়ে বিচারকরা এজলাস থেকে চলে যান। আইনজীবীরা কয়েকটি আদালতের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ সময় ছবি তুলতে গিয়ে ফটোসাংবাদিক নূরুল ইসলাম তাদের হাতে লাঞ্ছিত হন। আইনজীবীরা তাকে মারধর করে তার শরীরে ও চোখে জখম করে তার ক্যামেরা কেড়ে নেন। আইনজীবীরা সব আদালত বর্জন করে আদালত চত্বরে দিনভর বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে জেলা আইনজীবী সমিতি জরুরি বৈঠকে বসে। আইনজীবীদের জামিন না দেয়ায় কোর্ট বর্জনের সত্যতা নিশ্চিত করে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট একে সামিউল হক সাংবাদিকদের বলেন, জেলা বারের আইনজীবীদের নিয়ে সমিতির জরুরি বৈঠক চলছে। এ ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জানা যায়, গত বছরের ২৪ অক্টোবর কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হন যুবলীগ নেতা পাথর ব্যবসায়ী আবদুল আলী। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ওই তিন আইনজীবী হত্যার নেপথ্যে ছিলেন বলে স্বীকার করে। সাংবাদিক নূরুলের ওপর হামলার প্রতিবাদে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। দুপুরে সিলেট জেলা দায়রা জজ আদালতের সামনে থেকে মিছিল বের হয়। মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। পরে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন সিলেট ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন। হামলার ঘটনায় আইনজীবীদের সব ধরনের অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সদস্যরা। সাংবাদিকরা এ হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিচার দাবি করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সময় টিভির সিলেট ব্যুরো চিফ একরামুল কবির ইকু, ইকবাল মনসুর, দৈনিক মানবজমিনের ব্যুরো চিফ ওয়েছ খছরু, মাই টিভির সিলেট প্রতিনিধি টুনু তালুকদার, আলোকচিত্রী সাংবাদিক দুলাল হোসেন, সিলেট সুরমার স্টাফ রিপোর্টার মানউবী সিংহ শুভ, আনিসুর রহমান, মামুন হাসান, আলা উদ্দিন, বৈশাখী টিভির সিলেট প্রতিনিধি শিহাব উদ্দিন শিহাব, এইচএম আরিফ, আশকার আমিন লস্কর রাব্বি, কয়েছ আহমদ প্রমুখ।