সিলেট

সিলেট জিআরপি থানার রেল পুলিশের এসআই মিসবাহর ধৃষ্টতা ও হয়রানির চেষ্টা

সিলেট রেলওয়ে স্টেশন। সন্ধ্যা ৭টা। ঢাকা থেকে এসে পৌছায় জালালাবাদ এক্সপ্রেস। ট্রেন থেকে নেমে আস্তে আস্তে স্টেশন ত্যাগ করতে থাকেন যাত্রীরা। কেবলমাত্র থেকে যান দুই যুবক। ঘুরাফেরা করতে থাকেন প্লাটফর্মে। এগিয়ে আসেন জিআরপি থানার এসআই মিসবাহ। কোন কিছু জিজ্ঞেস না করেই ধরে নিয়ে যুবকদ্বয়কে। আটকে রাখেন জিআরপি থানার ভেতর। যুবকদ্বয় নিজেদের স্টেশন মাস্টারের আত্মীয় পরিচয় দিলেও মন গলেনি এসআই মিসবাহর। খবর পেয়ে সহকারি স্টেশন মাস্টার রেলওয়ের কর্মচারি মোস্তফাকে পাঠান তাদেরকে ছাড়িয়ে আনতে। এসময় এসআই মিসবাহ চড়াও হন মোস্তফার উপর। এতে ক্ষেপে যান সিলেট রেলওয়ের শ্রমিকদের সংগঠন শ্রমিক সংগ্রাম কমিটি। শতাধিক শ্রমিকরা জড়ো হয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। একইসাথে এসআই মিসবাহর অপসারণ দাবী জানান তারা। শ্রমিকদের আন্দোলনের তোপে আটক যুবকদ্বয়সহ আর ৪জনকে থানা হাজত থেকে বের করে দেন এসআই মিসবাহ। তারপরও আন্দোলন চলতে থাকলে সেখানে পৌছান জিআরপি থানার ওসি আলমগীর। সিলেট রেলওয়ে শ্রমিকলীগের সভাপতি আব্দুল মতিন ভূইয়াসহ শ্রমিক নেতাদের নিয়ে স্টেশন ম্যানেজারের কক্ষে বৈঠকে এসআই মিসবাহকে প্রত্যাহারের ব্যাপারে আশ্বস্থ করেন তিনি। ওসি আলমগীরের আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে আসেন শ্রমিকরা। সিলেট জিআরপি থানার এসআই মিসবাহ প্রায়সময় বিনাকারণে যাত্রীদের আটকে নাজেহাল করেন বলে জানান রেলওয়ের শ্রমিকরা। আটককৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহণ করেই ক্ষান্ত হন এসআই মিসবাহ। একইভাবে বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট রেলওয়ের সহকারি স্টেশন মাস্টারের আত্মীয় দুই যুবককে থানায় ধরে নিয়ে যান তিনি। আপত্তিকর অবস্থায় তাদের আটক করার অভিযোগ তুলেন এসআই মিসবাহ। তাদেরকে ছেড়ে য়ার অনুরোধ জানাতে গেলে রেলওয়ের কর্মচারী মো: মোস্তফাকেও লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সিলেট জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর জানান- ঐ দুই যুবক বিনা টিকেটের রেলযাত্রী ছিলেন কিনা জানতে থানায় নেয়া হয়েছিল। স্টেশন ম্যানেজারের রুমে শ্রমিকনেতার নিয়ে করা বৈঠকটি রেল কর্তৃপক্ষের অভ্যন্তরীণ বিষয় সংক্রান্ত বলে জানান তিনি।