তিনি নির্বাচন করতে চান, দলীয় মনোনয়ন চান, এ নিয়ে গুঞ্জন আর আলোচনা ছিল। কিন্তু কখনোই প্রকাশ্যে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেননি তিনি। তবে প্রতিদ্বন্দ্বি এক নেতা আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমে পড়ায় এবার প্রকাশ্যেই আগামী সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক বাজেট সাধারণ সভায় এমন ঘোষণা দেন তিনি। জানা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) আগামী নির্বাচনে অন্তত সাতজন নেতা দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী। সম্প্রতি হঠাৎ করেই এ তালিকায় যুক্ত হয়েছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। গত মাসে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করে মেয়র পদে প্রার্থী হতে তৎপরতা শুরু করেছেন তিনি। এর আগে তিনি সিলেট-২ আসনে এমপি প্রার্থী হতে তৎপর ছিলেন।
সিসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে আগ্রহীদের মধ্যে আরও রয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক এ টি এম এ হাসান ও আজাদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান আহমদ ও সদস্য প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী। সংশ্লিষ্টরা জানান, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়তে তৎপর রয়েছেন। এ লক্ষ্যে মহানগরীতে কাজ করছিলেন তিনি। তবে সবার কাছে দোয়া চাইলেও প্রকাশ্যে মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার কথা বলেননি তিনি।
এবার আর রাখঢাক না করেই সরাসরি প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে সিলেটের দ্বিতীয় বার হলে জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক বাজেট সাধারণ সভায় মিসবাহ সিরাজ বলেন, ‘আমি আগামী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করতে চাই।’ মেয়র পদে প্রার্থীতা ঘোষণা প্রসঙ্গে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, ‘গোটা জীবন আমি রাজনীতি করে কাটিয়ে দিচ্ছি। ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার প্রতি আমার আনুগত্য। এর বাইরে আমার কোনো ধারা নেই, পথ নেই।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার হত্যাকারী খন্দকার মোশতাক আহমেদ যখন সিলেটে এসেছিল, তাকে গণপিটুনি দিয়েছিলাম আমার নেতৃত্বে। এজন্য রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ১৭ মাস কারাগারে ছিলাম। রাজনীতি করতে গিয়ে জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া, ওয়ান-ইলেভেন সরকারের আমলেও আমি জেল খেটেছি।’ মিসবাহ সিরাজ বলেন, ‘রাজনীতি হচ্ছে একটি অনুভূতি। এখানে মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ আছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে মেয়র পদে নির্বাচন করতে কাজ করে আসছি।’
প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ভার দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন মিসবাহ সিরাজ। তিনি বলেন, ‘দলীয় সভানেত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটাই চূড়ান্ত।’
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস