সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিয়ে খুশি নবীনরা। বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে নগরীর ৪২টি ওয়ার্ডে এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকাল থেকে পুরাতন ভোটারদের সঙ্গে ভোট দিচ্ছেন নবীনরাও। জীবনের প্রথম ভোট ইভিএমে দিতে পেরে খুশি তরুণ ভোটাররা।
নগরীর মদীনামার্কেট পল্লবী এলাকার বাসিন্দা ইয়াহিয়াদুল মনোয়ার। এবার তিনি নতুন ভোটার। প্রথম ভোট ইভিএমএ দিবেন প্রচুর উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে সকাল সাড়ে সাতটায় ভোট দিতে কেন্দ্রে হাজির হয়েছেন। শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা সেন্টারে পুরুষ বুথের প্রথম ভোট দেন তিনি। ভোট দিয়ে এসে মনোয়ার বলেন, আমার প্রথম ভোট ইভিএমএ দিব বলে অনেক এক্সাইটেড ছিলাম। ভাল ভাবে ভোট দিতে পেরেছি। যদি সারাদিন মেশিন সচল থাকে তাহলে মনে হচ্ছে ভোটের জন্য ইভিএমএ পদ্ধতি ভাল।
নগরীর ৮ নং ওয়ার্ড পনিটুলা এলাকার বাসিন্দা মুরাদ আহমদ। ব্যালটে জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। তবে এবার ইভিএমে প্রথম ভোট দিবেন বলে অন্যরকম অনুভূতি তার। মুরাদ বলেন, প্রথমবার ভোট দেওয়ার সময় যেমন উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল, এবারও ইভিএমএ ভোটের কারণে একইরকম অনুভূতি হচ্ছে।
নগরীর পনিটুলা এলাকার অর্নাস পড়ুয়া রিয়া হালদারও এবার প্রথম ভোট দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি ভোট ব্যালট পেপারে হয়। কিন্তু আমি ভোট দিচ্ছি ব্যালট সিল ছাড়া। বিষয়টা অন্যরকম লাগছে। দেশ যে ডিজিটাল হয়েছে ইভিএম ভোটিং তার প্রমাণ। নগরীর নতুন ওর্য়াড হচ্ছে ৩৮ নম্বর। ওই ওয়ার্ডের ভোটার গৃহিণী শান্তনা আক্তার (২৩)। তিনি বলেন। ভোট দেওয়ার আগে কিছুটা ভয় লেগেছে। ভোট দেওয়ার পর ভালা লাগছে। কম্পিউটারে ভোট দেওয়া সহজই।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস