সিলেট

শিল্পপতি রাগীব আলী ও তার ছেলের ১৪ বছরের কারাদন্ড

মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি মামলায় (১১৪৬/০৫) সিলেটের শিল্পপতি রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাইয়ের ১৪ বছরের কারাদন্ড হয়েছে। সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান হিরো বৃহস্পতিবার পৃথক চারটি ধারায় তাদেরকে এ সাজা দেন।
আদালতের আদেশে বলা হয়, আসামী রাগীব আলী ও আব্দুল হাই এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আনীত দন্ডবিধি ৪৬৬/৪৬৮/৪৭১/৪২০ ও ৩৪ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে দন্ডবিধির ৪৬৬ ধারায় ৬ বছরের সশ্রম কারাদন্ডসহ দশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত করা হলো। দন্ডবিধির ৪৬৮ ধারায় তাদের প্রত্যেককে ৬ বছরের সশ্রম কারাদন্ডসহ দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদন্ড এবং দন্ডবিধির ৪২০ ধারা এবং ৪৭১ ধারায় তাদেরকে আরো এক বছর করে কারাদন্ড প্রদান করা হলো।

আদালতের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, চারটি ধারার সাজাই এক সাথে চলবে। এ জন্য রাগীব আলী ও তার ছেলেকে সর্বোচ্চ সাজা ৬ বছর জেল খাটতে হবে।
সিলেটের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ আদালত চত্বরে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের বলেন, পৃথক চারটি ধারায় রাগীব আলীর সব মিলিয়ে ১৪ বছরের কারাদন্ড হয়েছে।
২০১৬ সালের ১০ জুলাই তারাপুর চা বাগান লিজের ক্ষেত্রে স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলাটির চার্জশিট দাখিল পিবিআই(পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)। এ মামলার চার্জশিটে অভিযুক্ত করা রাগীব আলী ও তার পুত্র আবদুল হাইকে। চার্জ গঠনের পর মাত্র ১১ কার্যদিবসে মামলাটির কার্যক্রম শেষ হয়। মোট ১৪ জন স্বাক্ষীর মধ্যে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় ১১ জনের। এছাড়া, রাগীব আলীর পক্ষে আরো ২ জন সাফাই সাক্ষ্য দেন।