আইটি

বাংলাদেশের আদলে ডিজিটাল হবে মালদ্বীপ

ডিজিটাল বাংলাদেশের আদলে প্রতিবেশি রাষ্ট্র মালদ্বীপ নিজেদের দেশকে করবে ‘ডিজিটাল মালদ্বীপ’। বাংলাদেশের ডিজিটালাজেশন কার্যক্রম দেখে এই মডেল অনুসরণের আগ্রহী মালদ্বীপ।বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্প এবং মালদ্বীপ সরকারের ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফরমেশন টেকনোলজি’র মধ্যে একটি চুক্তি হয়। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মালদ্বীপের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং হেড অব কমিউনিকেশন আহমেদ আদিম এবং এটুআই প্রকল্পের পরিচালক কবীর বিন আনোয়ার।মালদ্বীপ ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল অভিজ্ঞতা তাদের নিজ দেশে বাস্তবায়নের আগ্রহের কথা জানায় বাংলাদেশ সরকারের কাছে। মালদ্বীপে সরকারের প্রতিষ্ঠান ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফরমেশন টেকনোলজি’  তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক কার্যক্রম গ্রহণ, অগ্রগতি ও প্রসারে কাজ করে।চুক্তির আওতায় এটুআই প্রোগ্রাম মালদ্বীপ সরকারকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম তৈরি, ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন ও পরিচালনা, অনলাইনে হজ ব্যবস্থাপনা, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স প্রসেস, বিদ্যমান সরকারি সেবাকে ই-সেবায় রূপান্তর, ন্যাশনাল পোর্টাল ও ডাটা সেন্টার স্থাপন বিষয়ে সহযোগিতা করবে। এ উদ্যোগ সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন জোরদার করতে ভূমিকা রাখবে বলে জানা গেছে।ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল উদ্যোগ ও অভিজ্ঞতা অন্যদেশে ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে এটি প্রথম কোনো সমঝোতা স্মারক। এটুআই সূত্রে জানা গেছে, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ থিম বাস্তবায়ন করতে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভুটান, নেপাল ও সেশেলেস আইল্যান্ড।এটুআই জানায়, মালদ্বীপে স্কুলের সংখ্যা অপ্রতুল। যে স্কুল রয়েছে সেগুলোতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম তৈরি করে আধুনিকায়ন শিক্ষাদান কার্যক্রম চালু করা হবে। একই সঙ্গে টেলিমেডিসিন সেবাও চালু হবে বলে তিনি জানান। হজ ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নের কাজও করবে এটুআই প্রকল্প। প্রতি বছর বহু লোক মালদ্বীপ থেকে হজ করতে যায়। কিন্তু যারা হজ করতে যায় তাদের ‘ট্র্যাক’ করার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় মালদ্বীপকে সমস্যা পোহাতে হয়। এ কারণে দেশটি এটুআই কাছ থেকে হজ ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়ন করবে, দেশটির সমুদ্র বন্দরকে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর করতে ‘কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স প্রসেস’ও তৈরি করে দেবে এটুআই।