আইটি

হুয়াওয়ের সিডস প্রোগ্রামে বিশ্বজয়ে বাংলাদেশি তরুণরা

চলতি বছরে চূড়ান্ত মূল্যায়ন, যাচাই-বাছাই ও প্রশিক্ষণের পর সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশের বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেছে উদ্যোক্তারা। রাজধানীতে হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়ার সদরদপ্তরে আটজন বিজয়ীর হাতে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। বিজয়ীরা প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চীন সফর করবেন। বিজয়ীরা হলেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সায়েদ আতিফ রায়হান, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ফারিসা জায়নাহ জামান, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির নাফিম করিম খান, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির (বুয়েট) মো. রেজওয়ান উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাসনিয়া ইফফাত, রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির (রুয়েট) মো. সাফিউস সিফাত, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির নুফসাত ফারুক ও ওয়াসিফ উদ্দিন। হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডিরেক্টর অব দ্য বোর্ড লিন হাই প্রতিযোগিতা প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশে এমন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতিবছর মেধাবীদের বৈশ্বিক উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করছি। উদ্যোগটি আমাদের বাংলাদেশে ও বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্যের বাস্তব প্রতিফলন, যা দেশের মেধাবীদের দক্ষতা উন্নয়নে শক্তিশালী আইসিটি খাত গড়ে তোলার প্রতি দৃঢ় প্রতিফলন। আইসিটি ক্ষেত্রে তরুণদের জন্য এমন উদ্যোগ দীর্ঘ বিনিয়োগের প্রতীক। আমরা বিশ্বাস করি, এমন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তারা যে মূল্যবান শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, তা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রগতিতে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। ইউনেস্কোর বাংলাদেশ অফিসপ্রধান ও প্রতিনিধি ড. সুসান ভাইজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য এমন প্রতিযোগিতার কৌশলগত অংশীজন হয়ে কাজ করেছি। উদ্যোগটি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জনে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা পালন করছে। বিজয়ী তরুণ-তরুণীর দক্ষতা, উৎসাহ ও অঙ্গীকার সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে তাদের ভবিষ্যতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। এমন মেধাবী তরুণ-তরুণীরাই ভবিষ্যতের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে নেতৃত্ব দেবে। উদ্যোক্তারা জানায়, সারাবিশ্বের ১৪১টি দেশের ১৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করেছে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর পর এবারে ১২তম প্রতিযোগিতা হয়েছে। এমন উদ্যোগের মাধ্যমে সারাদেশের তরুণরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তির বাস্তব অভিজ্ঞতার সঙ্গে খাত-সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মূল্যবান দিকনির্দেশনা পেয়েছে।   এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস