প্রবাস

ফ্লোরিডায় যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে এক বাংলাদেশিকে তার নিজ দোকানে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নিহত আইয়ুব আলীর (৬১) বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নানোপুর গ্রাম।

তিনি ফ্লোরিডা স্টেট যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। মঙ্গলবার (১৭জুলাই) দুপুরে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের নর্থ লডারডেল সিটির ১৬৯১ সাউথ স্টেট সড়কে আন্ট মলি’জ ফুড স্টোরে তার মাথায় গুলি করা হয়।

পুলিশের হোমিসাইড শাখার কর্মকর্তা জেমস হাইয়েস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গুলির খবর পেয়ে লডারডেল লেইকস ও টামারাক ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রক্তাক্ত আইয়ুব আলীকে পাশের ব্রাউয়ার্ড হেল্থ মেডিকেল সেন্টারে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আশপাশের সিসিটিভি পরীক্ষার পর হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারে এলাকাবাসীর সহায়তা চেয়েছে ব্রাউয়ার্ড শেরিফ অফিস।

এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ফ্লোরিডায় অ্যাসোসিয়েশন অব বাই-ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট আতিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “স্টোর থেকে কিছুই লুট হয়নি। তাই এটা ডাকাতির ঘটনা হতে পারে না। এটা হেইট ক্রাইম।”

প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার সকাল থেকে আইয়ুব আলী একাই কাজ করছিলেন তার দোকানে। গুলির সময় সেখানে আর কেউ ছিলেন কিনা তা এখনও জানায়নি পুলিশ।

১৯৯৪ সাল থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন আইয়ুব আলী। ১০ বছর আগে এই দোকান কেনেন তিনি। গত বছর পার্কল্যান্ড এলাকায় একটি বাড়িও কিনেছেন আইয়ুব। তিন মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রী ফারহানাকে নিয়ে সেখানেই বসবাস করছিলেন তিনি।

আইয়ুব আলী হত্যার সংবাদে ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন অব ফ্লোরিডা, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্লোরিডা, ঢাকা ক্লাব, নাগরিক, ফ্লোরিডা চেম্বার অব কমার্সের নেতারা হাসপাতালে যান এবং আইয়ুব আলীর পরিবারের খোঁজ-খবর নেন।

তারা মর্গ থেকে লাশ নেওয়ার পরই স্থানীয় মসজিদে জানাজার পর দাফনের বিস্তারিত কর্মসূচি নেবেন বলে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি নেতা আমির আলী, আলী নূর মঞ্জু, আব্দুল ওয়াহিদ মাহফুজ, এবিএম মোস্তফা, আরিফুল হক টনি, টিটন মল্লিক, আতিকুর রহমান, কবির চৌধুরী তুহিনসহ আরও অনেকে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেছেন।

গত এক দশকে দুর্বৃত্তের গুলিতে ফ্লোরিডায় ২৫ জনের বেশি বাংলাদেশি মারা গেছেন। সবকটি হত্যাকাণ্ডের জন্যই দুর্বৃত্তদের শাস্তি হয়েছে। তবে কর্মরত অবস্থায় নিহত হওয়া সত্ত্বেও ভিকটিমের পরিবার বা স্বজনেরা কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ পায়নি।

এলএবাংলাটাইমস/এএল/এলআরটি