প্রবাস

বিজয় দিবস উপলক্ষে সিডনিতে বাংলা মেলা

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে সিডনীতে আয়োজিত হলো বাংলা মেলা। আমরা বাংলাদেশী’ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনএ মেলারআয়োজন করেছে।মেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষকও সার্বিক সহায়তায় ছিল অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মিচুয়াল হোমস”।

মেলায় বাংলাদেশী ঐতিহ্যের নানা রকম দেশীয় খাবারের পাশাপাশি ছিল পোশাক ও জুয়েলারির পশরা। গত বছরের মতো এবারেও ছিল দুই প্রান্তে দুটি মঞ্চ। প্রধান  মঞ্চে স্থানীয় শিল্পীদের নিয়মিত অনুষ্ঠান মালার পাশাপাশি দ্বিতীয় মঞ্চে চলে লোকগান, কবিতা, গল্প, কৌতুক এবং দর্শকদের অংশগ্রহণে বিশেষ অনুষ্ঠান। এ বছর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের কথা স্মরণ করে মরণোত্তর বিজয় সম্মাননা প্রদান করা হয় অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিবিদ ফ্রেডা ব্রাউনকে। এছাড়াও প্রত্যক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ বাংলা সঙ্গীত, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান করা হয় জনাব আপেল মাহমুদ ও মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয় কাজী জাকির হাসানকে।

মেলায় স্থানীয় সংগঠনের মধ্যে অংশ গ্রহণ করে  বাংলা আর্ট এক্সজিবিশন, কৃষ্টি ঐকতান, কিশলয় কচিকাঁচা, বাংলা ড্যান্স একাডেমী, ধূমকেতু, তান্ত্রিক, কার্নিশ, সৃষ্টি ও স্বপ্ন সহ স্থানীয় প্রবাসী অনেকেই। এবারেও ছিল এসো বিজয়ের রঙে আঁকি’-নামে ছোটদের চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা। এসো বিজয়ের সাজে সাজি’- নামে বাংলাদেশী সাজের প্রতিযোগিতা এবং এসো বিজয়ের গল্প শুনি’- নামে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে তাদের যুদ্ধ অভিজ্ঞতা জানার পর্ব বাংলা মেলা বিজয় সম্মাননা’ প্রদান। ছিল বিশাল ক্যানভাসে উন্মুক্ত চিত্রাঙ্কন এবং চিত্র প্রদর্শনী।এছাড়াও এবারের বিশেষ আয়োজন ছিল বাংলাদেশি তরুণ প্রজন্মের বেশ কয়েকটি শিল্প গোষ্ঠিকে একত্রিত করে সঙ্গীতানুষ্ঠানহারানো কিংবদন্তীর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ”মিচুয়াল হোমসের পক্ষ থেকে এনাম হক জানান, প্রবাসে জন্ম ও বেড়ে উঠা শিশু- কিশোরদের বাংলা সংস্কৃতি চর্চায় উৎসাহিত করতে, ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের কাছে বাংলাকে পরিচিত করতে এবং বিশ্ব পরিধিতে বাংলাকে তুলে ধরতে এ মেলার আয়োজন।বাংলা মেলারপক্ষ থেকে রেজা করিম জানান, আমাদের মুল উদ্দেশ্য বাংলাদেশী কমিউনিটিকে বিশ্ব কমিউনিটির সাথে পরিচিত করা ও সাংস্কৃতিক বন্ধন সৃষ্টি করা। উল্লেখ্য, ২০১৩ সাল থেকে বাংলা মেলার যাত্রা শুরু। ডিসেম্বর তথা এই বিজয়ের মাসে আর কোন মেলা না থাকায় এবারের মেলায় দর্শক সমাগম ছিল উল্লেখ করার মতো। পাশাপাশি দক্ষিণ গোলার্ধের গ্রীষ্মকালীন পড়ন্ত বিকেলে বিজয়ের আমেজ উপভোগ করতে মেলায় দিন দিন লোক সমাগম বাড়ছে।


এলএবাংলাটাইমস/এএল/এলআরটি