প্রবাস

ওয়াশিংটনে খান বাড়িতে দোয়া মাহফিল ও মেজবান

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনডিসিতে জ্ঞানবাহনের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. বদরুল হুদা খানের বাবা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা লোকমান খান শেরওয়ানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।দোয়ামাহফিলে  লোকমান খান সহ সকলের জন্য দোয়া করা হয়। গত  শনিবার,২৪ শে আগস্ট (ভার্জিনিয়ার স্প্রিংফিল্ডে) খান বাড়ীতে এই দোয়ার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথিদেরকে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ‘মেজবান’ খাবার পরিবেশন করা হয়।   

বার্ষিক দোয়া মাহফিলে ও মেজবানীতে উপস্থিত ছিলেন- কংগ্রেস ম্যান প্রার্থী ড.রসিদ মালিক, ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দুতাবাসের ইকোনমিক  মিনিস্টার শাহাবুদ্দিন পাটয়ারি, ভয়েস অফ আমেরিকার সরকার কবির উদ্দিন, ড.রুমানা রিফাত, ড.ওয়াহিদ সাজ্জাদ, ফকির সেলিম, আহসানুল হক, সাবরিনা চৌধুরী ডোনা(লোকমান খান শেরওয়ানীর নাতি), হাসান ইমাম, লাইলা হাসান, ইমাম হাসান, ড.হুসাম, হাবিব খান, ড.বসির আহমেদ, ড.গেলাম ফারুক, ড.শহিদ খান,ড.ফরিদ আক্তার সহ  কমিউনিটির গণ্যমান্য  ও প্রবাসী সকল রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। দোয়া মাহফিলে বাবার রুহের মাগফিরাত কামনা করে সকলের কাছে দোয়া চান ড. বদরুল হুদা খান।

মেজবানী খাবারের অতিথিয়তা প্রায় ৪ শতাধিক উপস্থিত সকলের কাছে প্রসংশনীয় হয়ে উঠে। অতিথিদের আপ্যায়ন করানো হয় সাদা ভাত সিদ্ধ চালের, বিশেষ পদ্ধতিতে রান্নাকৃত মেজবান গরুর মাংস, ডাল এবং মুরগী, খাসীর মাংস দিয়ে। কিন্তু প্রধান হচ্ছে সাদা ভাত, মেজবান গরুর মাংসের তরকারি এবং চানার ডাল। বিদেশের মাটিতে বসে চট্টগ্রামের মেজবানী খাবারের স্বাদ নিতে উচ্ছাসিত ছিল প্রবাসীরা।

উল্লেখ্য, প্রাচীন ঐতিহ্য “মেজবান”- যার মূল ধারনা হচ্ছে- এলাকাবসীদের নিয়ে বিশেষ উপলক্ষে বিশাল আয়োজনে ভোজন-আপ্যায়নের আনন্দ আয়োজন। “মেজবান” শব্দটি এসেছে পার্সিয়ান শব্দ ভান্ডার থেকে, যার আভিধানিক অর্থ হচ্ছে “হোষ্ট” বা “আপ্যায়নকারী”। হাজার বছর আগে সমাজের বিত্তশালীরা তাদের যেকোন উৎসব আয়োজনে এলাকার সবাইকে নিমন্ত্রন করে বিরাট ভোজ-বিলাসের আয়োজন করতেন তাদের প্রভাব, বিত্ত-বৈভব প্রকাশ করতেন।