প্রবাস

নিউইয়র্কে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি শাহেদ, খুনিরা গ্রেফতার না হওয়ায় প্রবাসীদের ক্ষোভ

নিউইয়র্কের ওজনপার্কে আবারো দুর্বৃত্তের গুলিতে গত ২রা সেপ্টেম্বর সোমবার ভোররাত সাড়ে ৪টায় রিচমন্ড হিল নামক স্থানে  নিহত হন বাংলাদেশী (সন্দীপের) যুবক শাহেদ উদ্দিন (২৭) ।শাহেদের নামাজে  জানাযা আজ  ৪ঠা সেপ্টেম্বর বুধবার বাদ এশা (রাত ৯টায়) ওজনপার্কের ফরবেল স্ট্রিটে অবস্থিত মসজিদ আল আমানে অনুষ্ঠিত হবে। নিহত শাহেদের বাবা যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি আলহাজ্ব বাবর উদ্দিনের উদ্ধৃতি দিয়ে কমিউনিটি লিডার আবু নাসের আরো জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তার লাশ নেয়া হবে লং আইল্যান্ডে ওয়াশিংটন মেমোরিয়্যাল পার্কে অবস্থিত মুসলিম গোরস্থানে। সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।

এদিকে, একই সময়ে গুলিতে আহত অপর বাংলাদেশী যুবক ইপু জামান (২৭) কে  চিকিৎসার পর সোমবার বিকেলে জ্যামাইকা হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়েছে। তার ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন যে, নাইট ক্লাবে সৃষ্ট গন্ডগোলের ভিকটিম হয়েছেন তারা। কারণ, গন্ডগোলে লিপ্তদের একজন (কৃষ্ণাঙ্গ) বাইরে এসে তাদের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল। সে সময় দৃর্বত্ততরা ব্রাশ ফায়ার করলে শাহেদের বুকে তা বিদ্ধ হয়। ইপুর দু’পায়েই গুলি লাগে। এবং ঐ ২৮ বছর বয়েসী কৃষ্ণাঙ্গের বুক ভেদ করেছে আরেকটি গুলি। সে এখনও হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় রয়েছে।

নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, রিচমন্ড হিল এলাকার ১৩০ স্ট্রিট এবং ৯২ এভিনিউতে অবস্থিত একটি নাইট ক্লাবের সামনে গত ২রা সেপ্টেম্বর  সোমবার ভোররাত সাড়ে ৪টায় বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে রাস্তায় হাঁটাকে কেন্দ্র করে ঝগড়ার এক পর্যায়ে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এদিকে, শাহেদকে গুলিবর্ষণকারী কেউই ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পরও গ্রেফতার না হওয়ায় কমিউনিটিতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এহেন হত্যাযজ্ঞে লিপ্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রবাসীরা।
উল্লেখ্য যে ঐ এলাকায় এর আগে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে মসজিদের ইমাম আলা উদ্দিন আকুঞ্জি ও তারা মিয়াকে দিন দুপুরে এক দুর্বৃত্ত গুলি করে হত্যা করে।