প্রবাস

ম্যানহাটনে বাংলাদেশী ছাত্রীর মৃত্যু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি রুহুল আলম আল মাহবুব মানিকের সাথেই আমেরিকায় আসার কথা ছিলো একমাত্র কন্যা সন্তান ১৯ বছর বয়সী নাবিলা রাইদার। কিন্তু কাজ আছে বলে নাবিলা রাইদা ৩১ ডিসেম্বর আমেরিকায় চলে আসেন। বস্টন থেকে নিউইয়র্ক আসেন নববর্ষ উদযাপনের জন্য। নিউইয়র্ক এসে বান্ধবীদের সাথে উঠেছিলেন মিড টাউন ম্যানহাটানের ডব্লিউ হোটেলে। ৩ জানুয়ারি সারা দিন কাজ করেছেন। রাতে ফিরে আসেন হোটেলে। পর দিন ৪ জানুয়ারি সকালে নাবিলার রুমে বান্ধবীরা নক করেন। কিন্তু সাড়া শব্দ পাচ্ছিলেন না। তারা সাথে সাথেই ৯১১ কল করেন। পুলিশ এসে দেখতে পান নাবিলার নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। এ্যাম্বুলেন্সে এসে নাবিলা রাইদাকে ম্যানহাটনের বেলভিউ হাসপাতালে নেয়া হয়। কর্তব্যরত ডাক্তাররা জানান নাবিলা রাইদা বেঁচে নেই। সে হোটেলেই সকাল সাড়ে আটটার সময় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহে.. রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ১৯ বছর। তিনি নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন।

বারী হোম কেয়ারের সিইও আসিফ বারী টুটুল জানান, নাবিলা রাইদার বাবা আমার বন্ধু। তার মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ শুনে লাসভেগাস না গিয়ে তিনি ৫ জানুয়ারি জেএফকে এয়ারপোর্টে আসেন। তাকে আমিই এয়ারপোর্ট থেকে আমার বাসায় নিয়ে যাই। তিনি মেয়ের মরদেহ নেয়ার আগ পর্যন্ত আমার বাসাতেই ছিলেন। তাকে নিয়ে আমি তার মেয়ের মরদেহ বেলভিউ হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসি। আসিফ বারী টুটুল জানান, একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে মানিক পাগল প্রায়। কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার অর্থ দিয়ে কি হবে। তিনি আরো জানান, মেয়েকে হারিয়ে অনেকটাই ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন মানিক। মেয়ের মরদেহের সাথে তাকে হুইল চেয়ারেই বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।

নাবিলা রাইদার নামজে জানাজা গত ৬ জানুয়ারি বাদ মাগরিব জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে জানাজায় বিপুলসংখ্যক মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন।